নতুন বছরের শুরুতেই জঙ্গলমহল এলাকায় হাতির হানায় মৃত ৮
হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। এই বছরেই এই কয়েকদিনে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বিষ্ণুপুর এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত আট জনের।
বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানার ঘুচিশোল গ্রামে হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এই জেলার শালবনী থানার ঢেঙাশোল গ্রামে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক যুবকের। মৃতের নাম কালীপদ মাহাতো (৩৫)। বন বিভাগের সূত্রে জানা গিয়েছে যে শুক্রবার রাতে ঢেঙাশোল গ্রামে ঢুকে পড়ে পাঁচটি হাতি। হাতিগুলি কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করে। সেই সময়ে হাতিদের তাড়িয়ে দিতে এগিয়ে যায় কালীপদ মাহাতো। গ্রামের লোকজন তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি তা শোনেননি। ওই দলে থাকা একটি হাতির সামনে পড়ে যান তিনি। হাতিটি তাকে শুঁড়ে করে পেঁচিয়ে পা দিয়ে পিষে দেয়।
মেদিনীপুরের বিভাগীয় বন আধিকারিক সন্দীপ বেরওয়াল বলেন নিয়ম মেনে এই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। "হাতি লোকালয়ে চলে এলে আমরা যেমন সেগুলো সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি তেমনই হাতি যাতে গ্রামে বা লোকালয়ে চলে না আসে তার চেষ্টা করছি। এই সঙ্গে আমরা মানুষকে সচেতন করছি। হাতি এলাকায় থাকলে কি করবে ও কি করবে না তা নিয়ে বারেবারে বলা হয়েছে। আমরা মানুষকে বলছি হাতি এলে তাদের সামনে না যেতে। কিন্তু কিছু মানুষ তা না শুনে এইভাবে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন" বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানার ঘুচিশোল গ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে শিবু হেমব্রম নামে এক যুবকের। গ্রামে ঢুকে যাওয়া হাতির সামনে পড়ে যায় শিবু। হাতিটির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার।
বুধবার রাতে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সামান্য কিছুটা দুরে নান্দিয়া কুন্দরি গ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মনোরঞ্জন মাহাতো নামে এক ব্যক্তির। এই দিনই ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকে পড়ে একটি হাতি। ঝাড়গ্রাম শহরের বামদা এলাকায় আত্মীয়ের দেহ সত্কার করে ফেরার সময় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে সুভাষ মাহাতো নামে এক ব্যক্তির।