জঙ্গলমহলের মাওবাদী স্কোয়াড ভেঙে ৭ মাও নেতার আত্মসমর্পণ মেদিনীপুরে
জঙ্গমহলের মাওবাদী স্কোয়াড প্রায় ভেঙেই দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। সশস্ত্র সাতজন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দফতরে এসে।
মেদিনীপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি : জঙ্গমহলের মাওবাদী স্কোয়াড প্রায় ভেঙেই দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। সশস্ত্র সাতজন মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দফতরে এসে। তাঁদের মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালেত পেশ করা হয়। আ্মসমর্পণকারী নেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একে ৪৭, এসএলআর-সহ ৬টি বন্দুক ও প্রচুর কার্তুজ।[অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরলেন দুই মাওবাদী, রাজ্য পুলিশের দফতরে আত্মসমর্পণ]
মেদিনীপুর পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, যে সাতজন মাওবাদী এদিন আত্মসমর্পণ করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাহেব মুর্মু ওরফে জয়ন্ত, গুরুচরণ সিংদের মতো দাপুটে মাও নেতারা। তবে এখনও মাওবাদী নেতা মদন মাহাতো ও আকাশের ধরা ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। এদিন পুলিশ সুপার বাকিদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান জানান।[সামাজের মূল স্রোতে ফিরতে বাবার নির্দেশেই অস্ত্র ছাড়লেন এই লস্কর জঙ্গি !]
এদিন জয়ন্ত বা গুরুচরণও বাকিদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান জানান। তাঁরা জানান, বর্তমান সরকারের সহযোগিতার কারণেই তাঁরা ফের সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে পারলেন। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করলেন, তাঁরা যাতে পুনর্বাসন প্যাকেজের আওতায় আসেন, তা দেখবেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে জয়ন্তর বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানার ওসি অতীন্দ্রনাথ দত্তকে অপহরণ ও শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলার অভিযো-সহ ৪৭টি মামলা ছিল। আর গুরুচরণের বিরুদ্ধে ছিল ১৮টি মামলা। এদিন ওই দু'জন ছাড়াও আত্মসমর্পণ করেন জয়ন্তর স্ত্রী মানসী মুর্মু, গুরুচরণ সিং-এর স্ত্রী মালতি সিং, সমীর মাহাতো, বৈদ্যনাথ মুর্মু, বনমানি মাহাতো।
তিনদিন আগেই সমাজের মূল স্রোতে ফেরার ইচ্ছা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সন্তোষ পাত্র নামে এক মাওবাদী নেতা। এই সন্তোষ পাত্রের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। জনসাধারণ কমিটির নেতা হিসেবে তিনি কাজ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ছিল।