উত্তরবঙ্গের আরও চার তৃণমূল বিধায়ক এবার বিজেপির পথে! দলীয় বৈঠকে রইলেন গরহাজির
ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসে ধস নামার আশঙ্কা। মুকুল রায়ের হাত ধরে ফের একবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন এক ঝাঁক বিধায়ক।
ফের একবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে ধস নামার আশঙ্কা রাজ্য রাজনীতিতে। মুকুল রায়ের হাত ধরে ফের একবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন এক ঝাঁক বিধায়ক। সূত্রের খবর, সম্ভবত উত্তরবঙ্গের চার তৃণমূল বিধায়ক এবার ঘাসফুল শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। ফলে একচেটিয়াভাবে উত্তরবঙ্গে বিজেপি আধিপত্য কায়েম করতে চলেছে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
অনুপস্থিত অনেকে
এর পাশাপাশি কয়েকটি পুরসভা ও পঞ্চায়েত তৃণমূল থেকে বিজেপির দখলে আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের অন্যতম বড় নেতা তথা সংগঠক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ লোকসভা পরবর্তী বিপর্যয়ের পর স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠকের আহ্বান দিয়েছিলেন সেই বৈঠকেই চার জন তৃণমূল বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন।
চলছে দলবদল
জল্পনা যার পরে আরও বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে দলবদলের হাওয়ার মধ্যে নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। নয়াদিল্লিতে গিয়ে তারা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। ফলে বিজেপির দখলে আসতে চলেছে ফের বেশ কিছু পুরসভা।
মমতার হুঁশিয়ারি
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে বলেছেন, দলে তিনি চোরেদের প্রশ্রয় দেবেন না। যারা দল ছেড়ে যেতে চায় তারা যেন অবিলম্বে দল ছেড়ে দেয়। এবং একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলে থেকে চুরি করে যারা এতদিন লুকিয়ে ছিল, তারাই দলবদল করেছে।
আরও ভাঙনের আশঙ্কা
এই বক্তব্যের পর আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা তথা বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দলবদল মুকুল রায়ের নেতৃত্বেই চলেছে। একের পর এক শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা এসে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গের আরও চার বিধায়ক যদি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে নিঃসন্দেহে তা শাসক দলের জন্য বড় ধাক্কা হতে চলেছে।