রিগিংয়ের অভিযোগ গ্রেফতার ১১ তৃণমূল কর্মী, বিধায়কের খোঁজেও তল্লাশি
গতকাল দেশে অষ্টম দফার ভোটগ্রহণ হয়। বাংলায় ছিল চতুর্থ দফা। ছ'টি কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বারবার জানানো সত্ত্বেও ভোট কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসেছিল বলে অভিযোগ। বিরোধীরা যথারীতি হইহল্লা জুড়ে দেন। এমনকী, রিগিংয়ের ভিডিও ফুটেজ ভোট কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে তারা নড়েচড়ে বসে। রিগিংয়ের অভিযোগ এফআইআর দায়ের করা হয়।
বাঁকুড়া জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। সোনামুখীর তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা রিগিংয়ে মদত দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিষ্ণপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত খণ্ডঘোষের ১৪৩ নম্বর বুথে ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন একজন ব্যক্তি। গতকাল ভোট কমিশনে এ নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ জানালেও তারা বলেছিল, ওই ব্যক্তি জলবাহক। ভিতরে জল দিতে গিয়েছিলেন। যদিও ২৪ ঘণ্টায় অবস্থান বদলে ফেলে ভোট কমিশন। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে ওই 'জলবাহক'-কে। তাঁর নাম অরূপ মাঝি।
সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা প্রমুখ অভিযোগ করেছেন, চতুর্থ দফাতেও সম্পূর্ণভাবে অবাধ নির্বাচন করাতে ব্যর্থ হয়েছে ভোট কমিশন। পঞ্চম তথা শেষ দফায় যেন কোনও অনিয়ম না ঘটে, সেই ব্যাপারে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে।