জামিনের টাকা দিতেও অস্বীকার, জেলেই থাকছেন সুব্রত রায়
অথচ বুধবার সুব্রতবাবুকে ১০ হাজার কোটি টাকা জমা দিয়ে জামিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি জে এস খেহর। তাতে রাজিও হন তিনি। প্রতিশ্রুতি দেন, ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক। টাকা জমা দেবেন। সেই কথায় ভরসা করে বিচারপতিরা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বলা হয়, যে মুহূর্তে ১০ হাজার কোটি টাকা জমা দেবেন তিনি, সেই মুহূর্তে যেন তাঁকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেলেই তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে ধরে নিয়েছিল সবাই।
কিন্তু এদিন হঠাৎ ঘটনায় নাটকীয় মোড় আসে। সাহারা গোষ্ঠীর আইনজীবী শীর্ষ আদালতে জানান, আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে এখনই ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। বরং ওই টাকা ছাড়াই তাঁর মক্কেলকে মুক্তি দেওয়া হোক। এ কথা শুনে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেন, এ আবার কেমন কথা? একদিনেই ভোল বদল! তাই জামিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত।
প্রসঙ্গত, তিনদিন আগেই সাহারা গোষ্ঠী শীর্ষ আদালতের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল। তাতে বলেছিল, বিনিয়োগকারীরা তাদের থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা পাবে। চলতি মাসেই ২৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। তার পর জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরের শেষে ৩৫০০ কোটি টাকা করে মোট ১০,৫০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। বাকি ৭ হাজার কোটি টাকা ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মেটানো হবে। মনে হয়েছিল, সুব্রত রায় জেল থেকে বেরিয়ে এলে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু গোটা ব্যাপারটা আবার বিশ বাঁও জলে চলে গেল।