বন্ধ ইস্পাত কারখানা! কাজ হারিয়ে বছরের শুরুতেই 'অন্ধকারে' বাংলার বহু শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার
বন্ধ ইস্পাত কারখানা! কাজ হারিয়ে বছরের শুরুতেই 'অন্ধকারে' বাংলার বহু শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার
নতুন বছরের আগমন। তার ওপরে রবিবার। প্রায় সবাই ব্যস্ত পিকনিক কিংবা ঘুরে বেড়াতে। তারই মধ্যে কাজ হারানোর ঘটনা। পশ্চিম বর্ধমানে একসঙ্গে কাজ হারালেন ৩১ জন শ্রমিক। বছরের শুরুতেই তাদের চোখে কার্যত অন্ধকার।
বন্ধ হয়ে গেল ইস্পাত কারখানা
ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সরপি এলাকার একটা রড তৈরির কারখানায়। কারখানার গেটের সামনে রবিবার বিক্ষোভে সামিল হল কাজ হারানো ৩১ জন শ্রমিক। বিক্ষোভকারী শ্রমিক সুভাষ রুইদাস, সন্দীপ বাউরি,মনেশ রুইদাসরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক দিনের মতো এদিন তাঁরা কাজে এলে কারখানার সুপারভাইজার জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এদিন থেকে তাদের এক মাসের জন্য কাজ বন্ধ।
বছরের শুরুতেই অন্ধকার
হঠাৎ করে বিনা নোটিশে কাজ চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ৩১ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবার। এদিনই সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি জানিয়েছে, ফেলে আসা ডিসেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার ছিল গত ১৬ মাসের মধ্যে সর্বাধিক। সেই বেকারদের সঙ্গে এঁরাও যুক্ত হলেন।
শ্রমিক বিক্ষোভ
হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের খবর পেতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। তাঁরা বলেন, বিনা নোটিশে কাজ বন্ধ করার অধিকার কারখানা কর্তৃপক্ষের নেই। খবর পেয়ে ঘটনা যায় লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ। যদিও সকাল থেকেই কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভের সামিল শ্রমিকদের একটাই দাবি, কাজ ফিরিয়ে দিতে হবে। যদিও এদিন কর্তৃপক্ষের কাউকেই পাওয়া যায়নি কারখানা চত্বরে।
সমস্যার নিরাপত্তারক্ষীরা
কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের এই টানা পোড়েনে সমস্যায় পড়েছেন কারখানায় কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীরা। কর্মরত নিরাপত্তা কর্মী দেবজিৎ নন্দী জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো তাঁরা কারখানার গেট বন্ধ করে রেখেছেন। তাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে, অথচ তাঁরাই পড়েছেন সমস্যায়। নিরাপত্তা কর্মী আরও জানান, রাতের শিফটে ডিউটির পর তাদের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বাইরে বিক্ষোভ চলায় তাঁরা দরজা খুলে বের হতে পারছেন না।
সবাই নজর রাখুন ২ তারখে! কুণালের জানুয়ারি-সাসপেন্স নিয়ে কী বললেন অভিষেক