মিশন ২০২৪-এ পাহাড়ে নতুন সমীকরণ! হামরো পার্টিকে ‘হাত’ ধরার প্রস্তাবে কংগ্রেসের
মিশন ২০২৪-এ পাহাড়ে নতুন সমীকরণ! হামরো পার্টিকে ‘হাত’ ধরার প্রস্তাবে কংগ্রেসের
২০২১-এর নভেম্বরে যাত্রা শুরু করেছিল হামরো পার্টি। তারপর তিন মাসেই পাহাড়বাসীর মন জয় করে পুরসভা দখল করে নিয়েছে তারা। বিমল গুরুং-অনীত থাপাদের টপকে অজয় এডওয়ার্ডস এখন পাহাড়বাসীর নয়নের মণি। আর পাহাড়ের এই নতুন নায়ক অজয় এডওয়ার্ডসকে জোট-প্রস্তাব দিল কংগ্রেস।
হামরো পার্টিকে জোট প্রস্তাব কংগ্রেসের
পাহাড়ে হামরো পার্টির এই উত্থানে অনুপ্রাণিত হয়ে কংগ্রেস প্রস্তাব দিয়েছে, তারা হামরো পার্টির সঙ্গে জোট গড়তে ইচ্ছুক। কিন্তু হামরো পার্টি কি নতুন এই সমীকরণ তৈরি করবে? এর আগে সুবাস ঘিসিংয়ের জিএনএলএফের সঙ্গে সিপিএমের তথা বামফ্রন্টের সুসম্পর্ক ছিল। আবার বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিজেপি এবং পরে তৃণমূলেরও জোট-সম্পর্ক তৈরি হয়। এখন হামরো পার্টি কি রেজিস্টার্ড কোনও দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, নাকি হামরো পার্টি তাঁদের মতো স্বাধীন থেকেই পাহাড় শাসনে মন দেবে?
হামরো পার্টির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শঙ্করের
এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের জোট প্রস্তাবে তেমন সায় দেয়নি হামরো পার্টি। দার্জলিং কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার জানিয়েছেন, হামরো পার্টির এই উত্থানকে স্বাগত। তাঁরা হামরো পার্টির সঙ্গে হাত মেলাতে তৈরি। হামরো পার্টির সঙ্গে জোট করে তারা দার্জিলিংয়ে লড়তে চায়। হামরো পার্টি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। শাসক তৃণমূলকে যে হারানো যায়। তা তাদের কাছে শিক্ষণীয়। এমন একটা দলের সঙ্গে তারা জোটবদ্দ হতে ইচ্ছাপ্রকাশ করে। কংগ্রেস তাদের এই লড়াইয়ে পাশে রয়েছে।
হামরো পার্টিও মানুষের জন্য কাজ করবে
শঙ্কর মালাকার বলেন, আমরা হামরো পার্টির সঙ্গে কথা বলব। পাহাড়ের মানুষ বিমল গুরুং, সুবাস ঘিসিংদের এতদিন দেখেছে। এবার তারা বেছে নিয়েছে হামরো পার্টিকে। পাহাড়ের মানুষের আস্থা অজয় এডওয়ার্ডসের নতুন গড়ে তোলা পার্টির উপর। কংগ্রেসের দাবি, তাদের আমলে পাহাড়ে উন্নয়ন হয়েছে। তারপর থেকেই সরকার পাহাড়ের উন্নয়নে সেভাবে শামিল হয়নি। কংগ্রেস মানুষের জন্য কাজ করে। হামরো পার্টিও মানুষের জন্য কাজ করবে বলে তাঁদের বিশ্বাস। জোট হলে আমরা একসঙ্গে পাহাড়বাসীর কাজ করতে পারব।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট নিয়ে ভাববেন অজয়
তবে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এখনও আমরা কোনও জোটে যেতে চাই না। তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দল ভেবে দখবে এই জোট প্রস্তাব। যে কোনও দলের সঙ্গে জোট হতেই পারে। তাঁরা কাজ করতে চান পাহাড়ের মানুষের স্বার্থে। হামরো পার্টি যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তা পাহাড়ের মানুষের ভালোর জন্যই নেবে।
দলমত নির্বিশেষে পাহাড়বাসী যোগ দিচ্ছেন হামরো পার্টিতে
মাত্র তিন মাস আগে দল গড়েছেন অজয়। তারপরই পাহাড় দখল করেছে হামরো পার্টি। একদলীয় শাসন থেকে পাহাড়কে মুক্তি দিয়েছেন তাঁরা। দার্জিলিং পুরসভায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরই পূর্ণ পাহাড়ের সমর্থন পেতে শুরু করেছে হামরো পার্টি। দলমত নির্বিশেষে পাহাড়বাসী যোগ দিচ্ছেন হামরো পার্টিতে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে নেতা-নেত্রীরা এবার হামরো পার্টিমুখী। বিনয় তামাং-ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতারা ও বিজেপি নেতাও যোগদান করেছেন হামরো পার্টিতে।
যোগদানের হিড়িক হামরো পার্টিতে, নয়া সমীকরণ পাহাডে
মোর্চার বিনয় তামাং-ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় থুলুং ও বলম তামাং যোগ দিয়েছেন হামরো পার্টিতে। সম্প্রতি অভিষেক শর্মা নামে এক বিজেপি নেতাও হামরো পার্টিতে ভিড়েছেন। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জনা কুড়ি নেতা যোগ দিয়েছেন হামরো পার্টিতে। তার মধ্যে বিনয় তমাং-ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় থুলুং জিটিএ সদস্য ছিলেন। বলম তামাং যুক্ত ছিলেন শ্রমিক সংগঠনে। আর মোর্চার মুখপাত্র বিনিতা রোকা ও যুব সভাপতি প্রকাশ গুরুং ইস্তফা দিয়েছেন দল থেকে। ফলে তাঁদের যোগদান নিয়েও জল্পনার পারদ চড়েছে।
পাহাড়ে দলবদলের হিড়িক, মোর্চা ছেড়ে হামরো পার্টিতে যোগদান গুরুং-তামাং ঘনিষ্ঠদের