২১ বছর নির্বাচন হয়নি পাহাড়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে মিলে গেল শাসক-বিরোধী
২১ বছর নির্বাচন হয়নি পাহাড়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে মিলে গেল শাসক-বিরোধী
তৃণমূল উপনির্বাচনের দাবি করেছিল, তার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার সমতলে পুরসভা নির্বাচনের পাশাপাশি পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিও উঠল। পাহাড়ে ২১ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। তাই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে সরব পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দল। উল্লেখ্য ২০১১ সালে জিটিএ গঠন হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরও।
২০০০ সালে শেষবার নির্বাচন, ২১-এ আবার!
২০০০ সালে শেষবার পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। তারপর ২০০৫-এ ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন করার তোড়জোড় শুরু হলেও শেষপর্যন্ত তা হয়নি। পাহাড় অশান্ত হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর আরও কয়েকবার পাহাড় উত্তপ্ত হয়েছে। ফলে নির্বাচন আর সংঘটিত হয়নি। এবার তাই পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে একত্রে সরব হল নেতা-কর্মীরা।
পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবিতে সবাই এক
রাজ্যে ভোটের দামামা ফের বেজে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের দুটি কেন্দ্রেও স্থগিত থাকা সাধারণ নির্বাচন হবে। এই তিন কেন্দ্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ফের ভোট উত্তাপ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি যুক্তিসঙ্গত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা গড়ার পর পাহাড়ে নির্বাচনের দাবি
পাহাড়ে ফিরে এসেছেন বিমল গুরুং। তারপর বিনয় তামাংয়ের শক্তি একটু খর্ব হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিনয় তামাং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে দেন। তার কয়েকদিন পর তামাং-সঙ্গী অনীত থাপাও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে নতুন দলের ঘোষণা করেন। গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা গড়ার পর তিনিও পাহাড়ে নির্বাচনের দাবি তোলেন।
বিমল গুরুং থেকে শান্তা ছেত্রী, দাবি পঞ্চায়েতের
বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে পাহাড়ে ফিরেছিলেন। তিনিও এবার পাহাড়ে নির্বাচন দাবি করেন। পাহাড়ে সমস্ত দলের তরফেই পাহাড় নির্বাচনের দাবিতে সরব হলেন রাজনৈতকি নেতারা। এমনকী তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রীও দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে।
একের পর এক ভোট উৎসব চলতেই থাকবে বাংলায়
রাজ্যে ২০২৩-এ ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন দেখার রাজ্য সরকার এখনই পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে মনস্থ করে, নাকি রাজ্যের অন্য সকল পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় একইসঙ্গে পাহাড়েও পঞ্চায়েত নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যে এখনও চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি। তারপর শতাধিক পুরসভার ভোট বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই এখন ভোট উৎসব চলতেই থাকবে বাংলায়। একে একে সমস্ত ভোট প্রক্রিয়া সাঙ্গ করতে হবে। তা না হলে একের পর এক দাবি জানিয়ে, সরব হবেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।