দরজা বন্ধ করেও হল না লাভ! ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
দরজা বন্ধ করেও হল না লাভ! ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
একদিকে ভোটের আগে লাগাতার শাসকদলের ঘর ভাঙাচ্ছে বিজেপি অন্যদিকে দলর গোষ্ঠী কোন্দল যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছে শাসকদলের কাছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নব্য বনাম আদির লড়াই দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে। বিধানসভা ভোটের আগে এই গোষ্ঠী কোন্দলই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিজেপির। সেই আঁচ পেয়েছেন বিজেপর কেন্দ্রীয় নেতারাও। আর তাই রাতারাতি ভোটের আগে কার্যত 'কর্মী-নিয়োগ' বন্ধ করার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। কিন্তু তাতেও থামছে না গোষ্ঠী কোন্দল। আজ ফের নদিয়াতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। খোদ জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কর্মীদের।
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ভোটের আগে বিজেপির আদি বনাম নব্যের লড়াই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিজেপির। দল ভাঙানোর খেলা আপাতত বন্ধ রাখা হলেও থামানো যাচ্ছে না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন নদিয়ার বিজেপি কর্মীরা। খোদ দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ দলীয় নেতৃত্বের একাংশের। প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কর্মীা। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সভাপতি সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন না বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বারবার শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। হঠাত দলের কর্মীদের খোদ সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্রবল চাপে বিজেপি।
চাপে পড়েই কি আলোচনার পথে বিজেপি সাংসদ!
যদিও দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। তা প্রকাশ্যে আনা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অন্যদিকে ক্ষোভ থাকলে তা নিয়ে দলের ভিতরেই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি। একই সঙ্গে সবার বক্তব্য শোনার কথা জানিয়ছেন তিনি। তবে দলবিরোধী আচরণ কখনই মানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ভোটের আগে এভাবে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে চাপে স্থানীয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
গোষ্ঠী কোন্দল মাথা ব্যাথার কারন বঙ্গ বিজেপির
ভোটের মুকে দলকে শক্তিশালী করা হলেও গোষ্ঠী কোন্দলই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মুকুল দিলীপদের। আদি বনাম নব্যদের ঘিরে তৈরি হচ্ছে একাধিক গোষ্ঠী। অনেক পুরানো কর্মীই এখন নব্যদের চাপে ঘরে বসে গিয়েছেন। অনেকেই নব্যদের 'নব্য-তৃণমুলি' বলেও কটাক্ষ করছেন! তবে ভোটের আগে পুরানো কর্মীদের বসে যাওয়া সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজেপি পুরানো কর্মীরা। অন্যদিকে, গত কয়েকমাসে একাধিক তৃণমূল নেতা, বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বহু অনুগামীও। অনেক ক্ষেত্রে এমন মানুষও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে যাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। এমনকি বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগও রয়েছে এমন মানুষও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে ক্ষোভ, রাগ থেকে অনেকেই দল থেকে আঁচ দুরে। যদিও সেই আঁচ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়কের যোগদানেরও গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে!
গত কয়েকদিন আগে দলবদল করেছেন শান্তিপুরের বিধায়ক। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন অভিজিত সরকার। প্রথমে কংগ্রেস সেখান থেকে তৃণমূল হয়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ তাঁর। তাঁর যোগদানে স্পষ্ট বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। তাঁর যোগদানের একমাস হতে চললেও স্থানীয় কোনও বিজেপি কর্মী এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। শান্তিপুরে স্পষ্ট বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।যার প্রভাব ভোটের বাক্সে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের। আর তাই তড়িঘড়ি যোগদান মেলা বন্ধ করল বিজেপি।
ভোটের আগে বিজেপির দরজা বন্ধ!
গোষ্ঠী কোন্দল বাড়ছে। ভোটের আগে শাসকদলকে বাড়তি সুবিধা করে দেবে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই আপাতত ভোটের আগে বিজেপির দরজা বন্ধ করা হল। সমস্ত রাজনৈতিক দল থেকে আসা কর্মীদের জন্যে বন্ধ করা হয়েছে দরজা। দলের মধ্যে মুলত গোষ্ঠী কোন্দল থামাতেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে শাসকের লাভ!
ভোটের আগে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে লাভ শাসকদল তৃণমূলেরই। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের। এক তৃণমূল নেতার কথায়, রাজ্যজুড়ে নব্য বনাম আদি লড়াইয়ে ভুগছে বিজেপি। দল ভাঙানো খেলা করতে গিয়ে নিজেদেরই সমস্যা বড়েছে। ফলে বিজেপির অবস্থা যত খারাপ হবে তাতে তৃণমূলেরই লাভ হবে বলে মন্তব্য শাসকদলের।
বিমল-বিনয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই কাঁটা তৃণমূলের, একুশে পাহাড়-রাজনীতিতে নজর বিজেপির