মীরাবাইয়ের অনুপ্রেরণায় কমনওয়েলথে পদক জয় বিন্দিয়া রানির, অপেক্ষায় একটা চাকরির
Array
ভারতের বিন্দিয়া রানি দেবী চতুর্থ ভারতীয় ভারোত্তোলক হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসের ২য় দিনে পদক জিতেছেন। ২৩ বছর বয়সী মণিপুরী ভারোত্তোলক শনিবার শেষের দিকে ৫৫ কেজি মহিলা বিভাগে রূপো পদক জেতেন। তিনি মোট ২০২ কেজি ভার উত্তোলনের সাথে ১১৬ কেজি উত্তোলন করে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে গেমসের রেকর্ডও তৈরি করেন। তিনি মীরাবাঈ চানুর ৮৬ কেজি জাতীয় রেকর্ডের সঙ্গে একাসনে বসলেন।
কিন্তু কে এই বিন্দিয়া রানি দেবী ?
মণিপুরের মীরাবাইয়ের মতো একই স্পোর্টস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বিন্দিয়া রানি। ১৯৯৯ সালে জন্মগ্রহণকারী, বিন্দ্যারানী ৫৫ কেজি বিভাগে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ স্বর্ণপদক জিতে ভারোত্তোলন বিশ্বের নজরে চলে আসেন। সোনার জয়ের পথে, তিনি টোকিও অলিম্পিক টেস্ট ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন হ্যাম ইউন-জিকে হারিয়ে দেন।
কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ
তবে, তাসখন্দে কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক যুদ্ধে নাইজেরিয়ার আদিজাত ওলারিনয়ের কাছে হেরে যাওয়ার যান। ২০১৯ সালে সামোয়াতে একই ক্যাটাগরিতে তিনি টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন। তাই এই পরাজয়টি তাঁর কাছে বিস্ময়কর ছিল। জাতীয় কোচ বিজয় শর্মা বলেছেন, পরাজয় তার দুর্বলতাকে সামনে আনে। আর সেটাই ওঁকে আরও শক্তিশালী করে।
অলিম্পিকের ঠিক আগে শর্মা বলেছিলেন, "ও দেশের উজ্জ্বল প্রতিভা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ওঁর সোনা রয়েছে। কমনওয়েলথের আগে, আমরা ওঁর দুর্বলতা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমরা যতটা সম্ভব এটার নিজেদের তৈরি করার চেষ্টা করেছি এবং এটাও জানতাম যে নাইজেরিয়ানদের ধরা কঠিন হবে। "
কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে, বিন্দ্যা ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে ১১৩ কেজি লিফটের কাছাকাছি ছিল, ওলারিনয়ের থেকে এক পয়েন্ট কম ছিল তাঁর। ৫৫ কেজিতে জাতীয় রেকর্ড এখনও রয়ে গেছে মীরাবাঈয়ের কাছে, যিনি সেগমেন্টে ৮৬ কেজি তুলেছিলেন।
মীরাবাঈ চানু সাহায্য
বিন্দিয়া রানি মীরাবাঈয়ের ভক্ত ছিলেন। তাঁকে মীরা দি বলে ডাকতে পছন্দ করেন এবং তিনি বলেছিলেন যে টোকিও অলিম্পিকের তারকা তার ক্যারিয়ারের একজন গাইড ছিলেন এবং তাকে একটি ব্যয়বহুল কিন্তু প্রয়োজনীয় উপহার দিয়েছেন।। তিনি বলেছিলেন , "মীরা দি'র আমার এই সাফল্যের পিছনে হাত রয়েছে। তিনি সবসময় আমার কৌশল এবং প্রশিক্ষণে আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি যখন ক্যাম্পে নতুন ছিলাম, তখন আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। দি জানতো আমার কাছে লিফটিংয়ের জুতো কেনার টাকা নেই। ও আমাকে সেই জুতো উপহার দেয়। ও সর্বদাই আমার অনুপ্রেরণার উৎস ছিল এবং তার আচার আচরণ আমাকে তার বড় ভক্ত করে তুলেছে।"
চাকরি জোটেনি
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক পেয়েও তাঁর চাকরি জোটেনি। তিনি বলেছেন, "আমার শীঘ্রই একটা চাকরি দরকার কারণ এটা আমার অলিম্পিকের জন্য তৈরি করতে সাহায্য করবে। আমি ধনী পরিবার থেকে আসি নি, তাই চাকরিটা পাওয়া এখন আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।"
প্রসঙ্গত, ধর্মশালায় এই বছরের শুরুর দিকে খেলো ইন্ডিয়া ন্যাশনাল র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে, তিনি তার ক্লিন অ্যান্ড জার্ক রেকর্ডে এক কেজি উন্নতি করে ১১৫ কেজিতে তুলে মোট ১৯৯ কেজি ভার উত্তোলন করেছিলেন। বড় মঞ্চে আরও গিয়েছেন তিনি।