করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ফের বড় সিদ্ধান্ত অলিম্পিক্স আয়োজক জাপানের
ভারত তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর অলিম্পিক্স আয়োজনে সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে একের পর এক বড় পদক্ষেপ করছে অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটি। আগেই বিদেশি দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার ঠিক করা হলো, বিদেশ থেকে কোনও স্বেচ্ছাসেবককে অলিম্পিক গেমসের আসরে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
দুদিন আগেই বিদেশি দর্শকদের অলিম্পিক্স দেখতে জাপানে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির সিইও তোশিরো মুতো জানিয়েছেন,কোনও দেশ থেকেই আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের অলিম্পিক্সের সময় আমরা জাপানে আসার অনুমতি দিতে পারছি না। এ জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। কিন্তু এ ছাড়া কোনও উপায়ও নেই। করোনা সংক্রমণ রোধেই এই পদক্ষেপ বলে অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আশি হাজার স্বেচ্ছাসেবক রাখার পরিকল্পনা করেছে অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটি। টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট আরও তিরিশ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁদের সিংহভাগই জাপানের। যেহেতু বিদেশি দর্শক থাকবেন না তাই কত স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন হবে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সির দাবি, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে শ-পাঁচেক স্বেচ্ছাসেবককে বাইরে থেকে আনা হতে পারে।
১১ হাজার অ্যাথলিট নিয়ে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা অলিম্পিক্স। ২৪ অগাস্ট থেকে হবে প্যারালিম্পিক্স। তাতে অংশ নেবেন ৪,৪০০ প্রতিযোগী। জৈব সুরক্ষা বলয়েই থাকবেন অ্যাথলিট ও সাপোর্ট স্টাফরা। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে টর্চ র্যালি উত্তর-পূর্ব জাপান থেকে। ১২১ দিন ধরে চলবে। অংশ মনেবেন ১০ হাজার রানার। টোকিওর নতুন ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অলিম্পিক্সের উদ্বোধনের সময় শেষ হবে টর্চ র্যালি।