নীরজ চোপড়া ফের গড়লেন নয়া রেকর্ড, এবার লক্ষ্য কোন এলিট ক্লাব?
টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিনে ভারতকে ঐতিহাসিক সোনা এনে দিয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। চলতি বছরেও তিনি রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। ভেঙে চলেছেন নিজের এবং জাতীয় রেকর্ড। এবার তিনি নতুন নজির গড়লেন স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে। প্রথম স্থান নিশ্চিত করতে না পারলেও এলিট ক্লাবের কাছাকাছি পৌঁছে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করলেন ভারতের সোনার ছেলে।
স্টকহোমের ডায়মন্ড লিগে নীরজ জ্যাভলিন ছুড়ে ৮৯.৯৪ মিটার দূরত্বে পাঠান। গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটারস শীর্ষ স্থান অধিকার করেন ৯০.৩১ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করে। পিটার নরওয়ের আন্দ্রেয়াস থরকিলডসেনের মিটিং রেকর্ড (২০০৬ সালের ২৫ জুলাই ৮৯.৭৮ মিটার) ভেঙে দিয়ে তা নিজের দখলে নেন। আগের সেই রেকর্ডটি টপকে গিয়েছেন নীরজ চোপড়াও। জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার তৃতীয় হয়েছেন, তাঁর পঞ্চম থ্রোটি গিয়েছে ৮৯.০৮ মিটার। টোকিও অলিম্পিকে রুপোজয়ী জাকুব ভাদলেখকে চতুর্থ স্থান অধিকার করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে, তিনি বর্শা নিক্ষেপ করতে পেরেছেন ৮৮.৫৯ মিটার, পঞ্চম ফিনল্যান্ডের অলিভার হেলান্ডার (৮৫.৪৬ মিটার)। টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী চেক প্রজাতন্ত্রের ভিতেস্লাভ ভেসেলি (প্রথম থ্রো ৮২.৫৭ মিটার) শেষ করেছেন সপ্তম স্থানে থেকে।
নীরজ চোপড়ার ব্যক্তিগত রেকর্ড ছিল ৮৯.৩০ মিটারের। যা জাতীয় রেকর্ডও। তুরকুতে পাভো নুরমি গেমসে নীরজ এই নয়া রেকর্ডটি গড়েছিলেন। সেই পারফরম্য়ান্সকেও ছাপিয়ে গেলেন স্টকহোমে। ৯০ মিটারের এলিট ক্লাবে তিনি পৌঁছাতে পারলেন না মাত্র ৬ সেন্টিমিটারের জন্য। তবে এ জন্য চিন্তুত নন নীরজ, বরং নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। নীরজ বলেন, খুব ভালো লাগছে। প্রথম রাউন্ডে আমি ৮৯.৯৪ দূরত্বে জ্যাভলিন পাঠিয়েছি, যা ৯০ মিটারের খুব কাছাকাছি। আমি ৯০ মিটারের বেশি দূরত্বেও পাঠাতে পারতাম। কিন্তু ঠিকই আছে, চলতি বছর অনেক প্রতিযোগিতাও রয়েছে। পিটারসকে অভিনন্দন ৯০ মিটারের বেশি বর্শা নিক্ষেপ করতে পারায়। আমার প্রস্তুতি ভালোই চলছে। নিজের সেরাটা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে উন্নতিই বেশি ভালো। প্রতিটি দিনই আলাদা। ইউজিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও নিজের সেরাটাই দেব। দেখা যাক সেখানে কেমন পারফরম্যান্স হয়।