প্রণয় চোট জয় করে কীভাবে ভারতকে পৌঁছে দিলেন থমাস কাপের ফাইনালে? বিদায়ের শঙ্কা কোন কৌশলে দূর চিরাগের?
ব্যাঙ্ককে জয়ধ্বজা উড়িয়ে থমাস কাপ খেতাবের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল ভারত। ১৯৭৯ সালের পর থেকে থমাস কাপ (Thomas Cup)-এর মতো ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালের বাধা টপকাতে পারেননি ভারতীয় শাটলাররা। যদিও ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ককে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেই বাধা টপকে যায় ভারত। কাল ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়া।
|
চোট জয় করে ফাইনালে
সিঙ্গলসে কেরিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় জয়টি ছিনিয়ে নিয়েছেন এইচএস প্রণয়। আর তাতেই নিজের দেশকে পৌঁছে দিয়েছেন ঐতিহাসিক ফাইনালে। চোট জয় করেই সেমিফাইনাল জয়। খেলা চলাকালীন প্রণয়ের পা পিছলে যায়। চোট লাগে গোড়ালিতে। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে অদম্য মনোবলকে সম্বল করে খেলা চালিয়ে যান প্রণয়। মাঝে মেডিক্যাল টাইম আউট নেন। তারপর কোর্টে ফিরেই পরাস্ত করেন বিশ্বের ৮ নম্বর তারকা শাটলার রাসমুস গেমকে-কে। প্রথম গেমটি প্রণয় হেরে গিয়েছিলেন ১৩-২১ ব্যবধানে। কিন্তু পরের দুটি জিতে নেন ২১-৯, ২১-১২-তে। প্রণয় বলেন, মাথায় অনেক কিছু ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছিল। চোট পাওয়ার পর কোর্টে নড়াচড়া করতে বা সামনের দিকে ঝুঁকতে অসুবিধা হচ্ছিল। তখন বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী করব। তবে এটা মাথায় ছিল যে, সরে দাঁড়ানো ঠিক হবে না। চেষ্টা করে দেখি কী হয়!
কৌশলে বাজিমাত
প্রণয় আরও জানিয়েছেন, খালি প্রার্থনা করছিলাম চোট যেন না বাড়ে। দ্বিতীয় গেম চলাকালীন ব্যথা কমতে থাকে। তৃতীয় গেমের আগে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়। মেডিক্যাল টাইম আউটের পর কোর্টে ফেরার সময়ই প্রণয় ঠিক করে নেন প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়াতে যা করার তা-ই করবেন। তাঁর কথায়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গেমের ট্যাকটিক্সই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চাপ বাড়ানো লক্ষ্য ছিল, বিশ্বাস ছিল যদি দ্বিতীয়ার্ধের আগে বড় লিড পেয়ে যাই তাহলে গেম জিততে পারব। ফলে ওই ১১ পয়েন্টকে পাখির চোখ করে এগিয়েছি, সেই কৌশল কাজে লেগেছে।
শ্রীকান্তের সঙ্গে উজ্জ্বল ডাবলস জুটি
প্রথম সিঙ্গলসে লক্ষ্য সেন বিশ্বের ১ নম্বর শাটলার ভিক্টর আক্সেলসেনের কাছে পরাস্ত হন। সেন হেরে যান ১৩-২১, ১৩-২১ ব্যবধানে। ভারত লড়াইয়ে ফেরে কিদাম্বি শ্রীকান্ত সিঙ্গলসে এবং বিশ্বের ৮ নম্বর ডাবলস জুটি সাত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি ও চিরাগ শেট্টি জয় নিশ্চিত করায়। লক্ষ্য হেরে যাওয়ার পর ভারত ১-১ করে রাঙ্কিরেড্ডি-চিরাগ জুটি ২১-১৮, ২১-২৩, ২২-২০ ব্যবধানে জেতায়। শ্রীকান্তের সিঙ্গলসে জয় লড়াইয়ে রাখে ভারতকে। শেষে বাজিমাত করেন প্রণয়।
হারের শঙ্কা ওড়াতে চিরাগের পরিকল্পনা
চিরাগ শেট্টি বলেন, তৃতীয় গেমে পিছিয়ে পড়ার পর ভেবেছিলাম অভিযান বুঝি শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এরপরই আমরা ছন্দ ফিরে পাই। ষষ্ঠ ম্যাচ পয়েন্টের সময় কেমন সার্ভ করব তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাও ছিল। তখনই স্থির করি, ফ্লিক সার্ভ করে দেখা যাক কী হয়। ইন্দোনেশিয়া শক্ত প্রতিপক্ষ হলেও বিনা যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার না করার মানসিকতা নিয়েই নিজেদের তাতাচ্ছে ভারতীয় দল।
MISSION🏅
— BAI Media (@BAI_Media) May 13, 2022
Dream of a billion plus just came true. Absolute champion stuff from our boys as they became the first ever 🇮🇳team to advance into the 𝙁𝙄𝙉𝘼𝙇S of #ThomasCup
Kudos to entire coaching team & support staffs. Take a bow👏@himantabiswa#ThomasCup2022#IndiaontheRise pic.twitter.com/cGdeFJIZD7