এক ম্যাচেই শত শত কোটি টাকা, যে কোনও খেলোয়াড়ের কাছে ঈর্ষার পাত্র মেওয়েদার
এক ম্য়াচেই শত শত কোটি টাকা বক্সার মেওয়েদারের। রবিবার ম্যাকগ্রেগরকে দশম রাউন্ডে টেকনিক্যাল নকআউট করে নিজের ৫০তম লড়াইটাও জিতে যান মেওয়েদার।
এক ম্যাচেই শত শত কোটি টাকা । দুবছর আগেও ফ্লয়েড মেওয়েদারকে নিয়ে এমন খবর ছাপাতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমকে। এরপর মেওয়েদার অবসর নিয়ে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলেন সবাইকে। যাক, অন্যের টাকা-পয়সা গোনার দায়িত্ব থেকে রেহাই পেল খেলার পাতা। কিন্তু বিধি বাম, আবারও হাজির হয়েছেন এই বক্সার। আরেকটি মাল্টি মিলিয়ন ডলার লড়াই জিতে কাঁপিয়ে দিয়েছেন খেলার জগৎ। প্রতিটি পাঞ্চে উশুল করে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা!
[আরও পড়ুন: হৃদয় দিয়ে লড়াই করে হেভিওয়েট বক্সিং-এ বিশ্বসেরাই হয়ে থাকলেন মেওয়েদার ]
রবিবার সকালে আমেরিকার লাস ভেগাসে হয়ে গেল সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বক্সিং লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে আইরিশ মিক্সড মার্শাল আর্ট খেলোয়াড় কনর ম্যাকগ্রেগরকে দশম রাউন্ডে টেকনিক্যাল নকআউট করে নিজের ৫০তম লড়াইটাও জিতে গেলেন মেওয়েদার। ৫০-০, এই হলো মেওয়েদারের ক্যারিয়ার রেকর্ড! আর এই জয় দিয়ে ২০০ মিলিয়ন ডলারও জিতেছেন মেওয়েদার! ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২৭৭.৭ কোটি টাকা।
সংবাদ সংস্থার দাবি, এই ফাইট থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাবেন মেওয়েদার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৫৫৫.৪ কোটি টাকা। অবশ্য 'মানি' ডাকনামের এই বক্সার কদিন আগে জিমি কিমেল শোতে দাবি করেছিলেন, হার-জিত যা-ই হোক না কেন, অন্তত সাড়ে তিন শ মিলিয়ন ডলার নিয়েই রিং ছাড়বেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই এই লড়াইয়ে মেওয়েদার ছিলেন হট ফেবারিট। শুধু বয়স আর দুই বছর রিংয়ের অনুপস্থিতি, যা একটু আশা দেখাচ্ছিল ম্যাকগ্রেগরকে। শেষ পর্যন্ত পারেননি। নিজে থেকে হাল ছাড়তেও রাজি ছিলেন না। তবে দুই রাউন্ড আগেই তাঁর বেগতিক অবস্থা দেখে রেফারি নিজে থেকে ম্যাচের শেষ ঘোষণা করেন।
পেশাদার বক্সিংয়ে অভিষেকে একালের সেরা বক্সারের মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখানোর জন্যই ম্যাকগ্রেগর বাহবা পাচ্ছেন। পয়সাকড়িও কম জুটছে না। হেরে গেলেও অন্তত ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছেন তিনিও।
কিছুদিন ধরেই এই ফাইট নিয়ে উত্তেজিত বক্সিং ও ইউএফসি জগতের লোকজন। মাত্র ২০ হাজার দর্শকের একটি প্রদর্শনী ম্যাচের টিকিট বিক্রি করেই ৭০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে আয়োজকেরা। আর পে-পার-ভিউ থেকে আয়ের অঙ্কটার মোট হিসাব এখনো মেলেনি। ৯৯ ডলার দিয়ে সরাসরি এ ম্যাচ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে টিভি দর্শকদের। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সরাসরি দেখেছে এ ফাইট। সে ক্ষেত্রে পে-পার-ভিউ থেকেই প্রায় ৪৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছে আয়োজকেরা। সব মিলিয়ে ৬০০ মিলিয়ন ডলার উঠে আসার কথা এ লড়াই থেকে!
বাকি সব খেলার খেলোয়াড় হিংসা করতেই পারেন। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দল প্রাইজমানি পেয়েছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। উইম্বলডন জিতে রজার ফেদেরার পেয়েছেন ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড। ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩.৯ মিলিয়ন ডলার।