আরও এক বিরল কীর্তি পিভি সিন্ধুর! জিতে নিলেন ব্যাডমিন্টনের সবচেয়ে সম্মানজনক প্রতিযোগিতা
পিভি সিন্ধু নোজোমি ওকুহারাকে পরাজিত করে তার প্রথম বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস শিরোপা জিতলেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি এই কৃতিত্বের অধিকারী হলেন।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর), আরও এক পালক জুড়ল পিভি সিন্ধুর সাফল্যের মুকুটে। একই সঙ্গে ঘোচালেন 'ফাইনালে ব্যর্থ' বদনাম। বছর শেষের ব্য়াডমিন্টনের সবচেয়ে সম্মানজনক টুর্নামেন্ট বিডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস প্রতিযোগিতার মহিলাদের সিঙ্গলস ফাইনালে, জাপানী তারকা নোজোমি ওকুহারাকে হারিয়ে দিলেন তিনি। ফলে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হলেন সিন্ধু।
ব্যাডমিন্টনের বিশ্বক্রমতালিকায় তিনি ছয় নম্বর স্থানে আছেন। কিন্তু এই বছর এই প্রতিযোগিতার আগে একটি খেতাবও জিততে পারেননি তিনি। অথচ পাঁচ-পাঁচটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই অধরাই থেকে গিয়েছে ট্রফি। ক্রমে তাঁর নামের পাশে 'ফাইনালে ব্যর্থ' তকমাও জুড়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু রবিবার, সেইসব বদনাম ঘুচিয়ে দিলেন তিনি। বছরের শেষে ব্যাডমিন্টনের সবচেয়ে সম্মানজনক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বিশ্বক্রমে তাঁর থেকে এক ধাপ আগে থাকা জাপানী শাটলার, নোজোমি ওকুহারাকে ২১-১৯, ২১-১৭ ফলে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে প্রথমবার এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হলেন সিন্ধু।
গত বছরও অবশ্য সিন্ধু ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস-এর ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু খেতাব জিততে পারেননি। হারতে হয়েছিল জাপানেরই আকানে ইয়ামাগুচির কাছে। এবারের টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই সেই ইয়ামাগুচিকে হারিয়েছিলেন সিন্ধু। শুধু তাই নয়, ফাইনালে ওঠার পথে একের পর এক ছিটকে দিয়েছেন তাই জু ইং, বেইওয়েন ঝ্যাং, রতচানোক ইন্টানন -এর মতো ব্য়াডমিন্টনের বিশ্ব-তারকাদের।
এদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ওকুহারার কাছেও গত বছর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারতে হয়েছিল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গিয়েছিল সেই ম্যাচে। রবিবারের ম্যাচটি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের হয়েছে। প্রথম থেকেই সব বিষয়েই এগিয়ে ছিলেন সিন্ধু।
শনিবার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সিন্ধু জানিয়েছিলেন, তাঁর মানসিক কাঠিন্য বেড়ে গিয়েছে। এখন আর আগের মতো নার্ভাস হবেন না। ম্যাচে তাঁর সেই দাবিই সত্যি বলে প্রমাণ করেছেন তিনি। তাঁর খেলার মধ্যে অদ্ভূত কর্তৃত্ব ছিল, প্রশান্তি ছিল। দেখে মনে হয়েছে, কি করতে হবে, তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে খেলতে নেমেছেন। যার ফলে মাত্র ৬২ মিনিটেই ফাইনাল ম্যাচ খতম করে দারুণভাবে বছরটা শেষ করলেন সিন্ধু।