এ বছরের দুর্গা পুজোয় মাথায় হাত পূর্ব মেদিনীপুরের পদ্ম চাষীদের
পদ্মের চাহিদা নেই এ বছরের পুজোয়
শারদোৎসব তো চলেই এল। আর পদ্মফুল ছাড়া দেবী দুর্গা পুজো কী আর সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। করোনার প্রকোপে মাথায় হাত পড়েছে পদ্ম চাষীদের। যে ফুল পাঁকে ফোটে, সেই ফুল ছাড়া কি আর দুর্গাপুজো হয়! সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল লাগে। পুজোর সময়ে দু'পয়সা উপার্জন হয় চাষীদের। কিন্তু এ বছর আর সেই পরিস্থিতি নেই। পদ্মঝিলে নেতিয়ে পড়া ফুলগুলিও বুঝে গিয়েছে এ বছর আর মায়ের পায়ে ঠাঁই হবে না।
মূলত,
অগাস্ট
সেপ্টেম্বর
মাস
থেকেই
পুজোর
জন্য
পদ্মফুল
সংরক্ষণ
শুরু
করে
দেওয়া
হয়।
এই
সময়
একটু
বেশি
দাম
পাওয়া
যায়।
কিন্তু
এ
বছর
ঝিলের
দিকে
উদাস
নয়নে
চেয়ে
থাকা
ছাড়া
উপায়
নেই,
কারণ
ফুল
সংরক্ষণের
স্টোরে
তালা।
পদ্মচাষীদের
তাই
তাড়া
নেই
ভোরে
ওঠার,
ট্রেনে
করে
ফুল
পৌঁছে
দেওয়ার।
করোনা
মহামারির
জেরে
সংসার
টানতেই
তাঁদের
অবস্থা
বেহাল,
তার
ওপর
সরকার
থেকেও
কোনও
সহায়তা
পায়নি
তাঁরা।
পূর্ব
মেদিনীপুরের
পদ্ম
চাষীরা
জানিয়েছেন
যে
ফাল্গুন
মাস
থেকেই
পদ্ম
সংরক্ষণের
কাজ
শুরু
হয়ে
যায়।
তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে পুকুর লিজে নিয়েছিলেন তাঁরা। তাতে ফুলও হয়েছে, কিন্তু চাহিদা নেই। এমনকী ফুলের বাজারও ঠিকঠাক মতো না বসায় বিক্রিও সেভাবে হয়নি। তার ওপর লিজে নেওয়া পুকুরের টাকাও শোধ করতে হবে। সব মিলিয়ে করুণ দশা পদ্ম চাষীদের। আকাশে বোধনের সুর শুরু হওয়ার আগেই তাঁদের চোখে বিসর্জনের জল দেখা দিয়েছে।
বিজেপির সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের দালাল! মুকুলের বিস্ফোরক অভিযোগ অনুব্রত-গড়ে