বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখাতে গিয়ে কু-প্রস্তাবের জেরে খুন! গ্রেফতারের পর উঠে এল যে তথ্য
দোলের দিন বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখানোর জেরেই ঘটে গেল খুনের ঘটনা। ঘটনার একদিন পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। তারপর সামনে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
দোলের দিন বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখানোর জেরেই ঘটে গেল খুনের ঘটনা। ঘটনার একদিন পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। তারপর সামনে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বন্ধুর স্ত্রীকে রঙ মাখানোর অছিলায় কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। তার জেরেই বাড়িতে চড়াও হয়ে বন্ধুকে খুন করে স্বামী।
কলকাতার বুকে দোলের দিন ঘটেছিল চাঞ্চল্যকর শ্যুটআউটের ঘটনা। রঙের উৎসবের মাঝে বন্ধুকে বাড়ি বয়ে গিয়ে খুন করে এসেছিল এক যুবক। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখানো নিয়ে গন্ডগোলের জেরে এই গুলি চলে। এদিন অভিযুক্ত গ্রেফতার পর সেই একই তত্ত্ব সামনে উঠে এসেছে।
সেইসঙ্গে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে ঢুকে বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখাতে গিয়ে কু-প্রস্তাব দেয় দিলীপ সিংহ। অনেক দিন ধরেই তিনি বন্ধু সুজিত মল্লিকের স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু দিলীপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সুজিতের স্ত্রী। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থেকে অভিযুক্ত সুজিত মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সামনে আসে বন্ধুর বউয়ের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যান করার কাহিনি। তার জেরেই দোলের উৎসবে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গেল।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পেশায় বাদাম বিক্রেতা দিলীপ। সুজিতের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। এরই মধ্যে সুজিতের সুন্দরী বউকে দিলীপের মনে ধরে। দিলীপ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। সেই কথা আবার সুজিতকে জানিয়ে দেন তার স্ত্রী। এরপর শুক্রবার দোল খেলতে সুজিতের বাড়িতে আসে দিলীপ। সুজিতের স্ত্রী বৃহস্পতিকে রং মাখিয়ে দেন। অভিযোগ, তখন আবার তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন দিলীপ। আর তা নিয়েই দুই বন্ধুর মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। অন্যান্য বন্ধুরা তখনকার মতো সব মিটিয়ে দেন।
কিন্তু তার স্ত্রীকে আবির ও রং মাখানো ভালোভাবে নেননি সুজিত। দিলীপের উপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সে বন্দুক জোগাড় করে ফেলে। তারপর সটান দিলীপের বাড়িতে হাজির হয়ে গুলি চালিয়ে দেয়। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবে দেওয়ায় বন্ধুকে খুন করে বসে সুজিত। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে গিটয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাকে পুলিশের জালে ধরা পড়তে হল। মোবাইলের টাওযার লোকেশন ট্র্যাক করে সুজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।