উল্টোডাঙ্গায় খালের মধ্যে মহিলার বস্তাবন্দি দেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য
উল্টোডাঙায় খালের ধারে বসবাসকারী বস্তির লোকজন শনিবার সকালে আচমকাই বস্তাবন্দি এক মহিলার দেহ জলে ভাসতে দেখেন। এরপরই পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
খালের মধ্যে মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উল্টোডাঙায়। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ কেস্টপুর থেকে উল্টোডাঙায় আসা খালের মধ্যে এই দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপরই উল্টোডাঙা থানা, লেকটাউন থানা এবং বিধাননগর নর্থ থানার পুলিশকর্মীরা ছুঁটে আসেন।
কেস্টপুর থেকে ভিআইপি রোড বরাবর সল্টলেককে একপাশে রেখে যে খালটি উল্টোডাঙায় এসে মিশেছে সেই খালে এই দেহ মেলা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। উল্টোডাঙার তিন মাথার মোড়ে সল্টলেক গেট বাসস্টপের কাছে খালের পারে এসে ভিড়েছিল বস্তাবন্দি দেহটি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ খুন করে দেহটি খালে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেহটিতে জল ঢুকে ফুলে যাওয়ায় তা ভেসে ওঠে।
বস্তার মধ্যে দেহ ফুলে যাওয়ায় সামান্য কাপড়চোপড়ও বেরিয়ে আসে। দেখা যায় মহিলার পরনে রয়েছে লেগিংস ও কামিজ। তবে দেড় ঘণ্টা দেরি খাল থেকে দেহ তোলায় স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। কে এই মামলার দায়িত্ব নেবে তা নিয়ে তিন থানার মধ্যে টালবাহানা চলতে থাকে বলে অভিযোগ।
পরে অবশ্য দেহটি খাল থেকে তুলে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশের অনুমান মহিলাকে বস্তায় পুড়ে খালে ফেলার আগেই খুন করা হয়েছিল। কিন্তু দেহটি ফেলা হয়েছে কোথায়? পুলিশ এক্ষেত্রে দু'টি অনুমান করছে খালের উপরে থাকা ব্রিজ বা ফ্লাইওভার থেকে দেহটি খালে ফেলা হতে পারে অথবা অন্যকোথাও খালের মধ্যে দেহটি ফেলা হয়েছিল এবং পরে তা ভাসতে ভাসতে উল্টোডাঙার দিকে চলে আসে। মৃতদেহ সনাক্তকরণের কাজও শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এলাকার বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।