স্বামীর পথ অনুসরণ করেই নারদকাণ্ডে জেরা এড়ালেন শোভন-পত্নী
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের তালিকার বাইরে মেয়র-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ালেন।
ই-মেল বার্তায় অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে নারদকাণ্ডে ইডি-র দফতরে হাজিরা এড়ালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এর আগে শোভনবাবুও সিবিআই-এর দফতরে হাজিরা এড়িয়েছিলেন আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠিয়ে। এ ব্যাপারে স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন রত্নাদেবী। তবে সত্যিই তিনি অসুস্থ কি না তা খতিয়ে দেখছে ইডি।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের তালিকার বাইরেও মেয়র-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। গত ২৩ আগস্ট মেয়রের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে শোভন-জায়াকে নোটিশ ধরিয়ে আসে ইডি। সেই নোটিশেই ইডি নির্দেশ দেয় রত্নাদেবীকে ৪ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের সিজি কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার।
সেইমতো এদিনই তাঁর ইডি দফতরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যাননি। তিনি ই-মেল করে ইডি আধিকারিকদের জানান, অসুস্থতার কারণে এদিন তিনি ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখোমুখি হতে পারবেন না। পরবর্তী সময়ে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন। তদন্ত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
কিন্তু ইডি আধিকারিকরা এদিন তাঁর বার্তায় সন্তুষ্ট হননি। ইডি-র তরফে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় তাঁর গরহাজিরার কারণ নিয়ে। সত্যিই তিনি অসুস্থ কি না তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। এর আগে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ তদন্তে জেরায় জেরায় জেরবার করে ইডি। এরই ফাঁকে মেয়র-পত্নী রত্নাদেবীকে কেন তলব করল ইডি, তা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।