সততার প্রতীক মমতা কেন লোকায়ুক্ত বিলের বাইরে, দুর্নীতি প্রশ্নে সরব বিরোধীরা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকায়ুক্তের বাইরে রেখেই সংশোধনী বিল পেশ করা হল বিধানসভায়। ছদিন আগেই বিধানসভায় বিলি করা হয়েছিল সংশোধনী বিলের খসড়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকায়ুক্তের বাইরে রেখেই সংশোধনী বিল পেশ করা হল বিধানসভায়। ছদিন আগেই বিধানসভার পরিষদীয় সমস্ত ঘরে বিলি করা হয়েছিল সংশোধনী বিলের খসড়া। তা নিয়ে বিতর্ক বাধতেই খসড়ার কপিগুলি ফেরত নিয়ে এদিন ফের নতুন প্রতিলিপি বিলি করা হয়। এবার কেন্দ্রীয় লোকায়ুক্ত আইনকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে রাখা হয়েছে লোকায়ুক্ত থেকে।
২০০৪ সালে রাজ্যে প্রথম লোকায়ুক্ত বিল পাস করা হয়েছিল। বাম আমলে সেই বিলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখা হয়েছিল লোকায়ুক্তের মধ্যে। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে রেখেই বিল পেশ করার উদ্যোগ নিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। মঙ্গলবার সংশোধনী বিলের প্রতিলিপি বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন বিলি করা হয়। জানানো হয় ২৬ জুলাই বিধানসভায় বিল পেশ করা হবে। ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এই সংশোধনীর ফলে সরকারি কাজে দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলা যাবে না। মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য ও সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে লোকায়ুক্ত তদন্ত করতে পারবে কি না, তা সরকারের সম্মতির উপর নির্ভর করবে। এর সমর্থনে কেন্দ্রের লোকপাল ও লোকায়ুক্তের ১৪/১/এ ধারা উল্লেখ করা হয়।
[আরও পড়ুন: '২০১৯- তৃণমূল বুঝবে বিজেপি কী জিনিস'! দিলীপ বললেন, নজর রাখুন পুজোর পর ]
এদিন এই বিলের প্রতিলিপি পেয়ে সরব হন বিরোধীরা। বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী তো সবসময় বলেন, উনি কোনও তদন্তের উপরে নন। তাহলে কেন লোকায়ুক্তের বাইরে রাখা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই আইনকে কালা কানুন বলে বর্ণনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি সৎ হবেন, তিনি কেন এমন একটা ব্যবস্থা করতে চলেছেন। যা হচ্ছে, তা দুর্নীতি পরায়ন করে তুলবে মন্ত্রী-সরকারি কর্মীদের। এই বিল দুর্নীতির প্রশ্নে সাংঘাতিক হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন! এবার কুরুক্ষেত্রে সঞ্জয় নয়, গাণ্ডীব হাতে অর্জুন হবেন দিলীপ]