হাইকোর্টের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদনে সুযোগ পেলেন রূপান্তরকামীরা
এবারও বড় সরো সাফল্য পেলো ট্রানজেন্ডাররা। এক ট্রানজেন্ডার আইনজীবীর দায়ের করা মামলার জেরে হাইকোর্টের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদনে সুযোগ পেল ট্রান্সজেন্ডারর। এবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদনপত্রে আবেদন করার সুযোগ পেলেন ট্রানজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা।
আলিয়ার লড়াইয়ে হার মেনে ছিল কলকাতা ও রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আরেক ট্রানজেন্ডারের দায়ের করা মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বরের আবেদন পত্র সংশোধন করে 'পুরুষ' ও 'মহিলা'র পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য 'আলাদা' কলম যুক্ত করে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। অঙ্কনের আবেদনের প্রেক্ষিতেই অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার পদে আবেদনের জন্য তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা এই প্রথমবার সুযোগ পেল বলেই মত হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের।
গত 18 সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদনের যে ফর্ম ছাড়া হয়েছিল। সেখানে পুরুষ এবং মহিলা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও ট্রানজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের আবেদনকারীদের জন্য আবেদনের কোন সুযোগ ছিল না। কলকাতা হাইকোর্টের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা ট্রান্সজেন্ডার অঙ্কন বিশ্বাস।
তাঁর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ দে জানান, সমানাধিকারের লড়াই। অস্তিত্ব পৃথক প্রমাণের লড়াই। সমাজের বেঁধে দেওয়া ছেলে বা মেয়ে পরিচয়ে নয়, রূপান্তকামী হিসাবেই সুযোগের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে।
প্রসঙ্গত, রূপান্তরকামীদের ওবিসি ক্যাটেগরি ভুক্ত করে সংরক্ষণ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এরাজ্যে তা চালু হয়নি। আগামী দিন যাতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মান্য করে রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা একটু হলেও সহজ হয় বলে জানান রূপান্তরকামী অঙ্কন।