টোকেনের হাত ধরে স্বস্তি ফিরছে কলকাতা মেট্রো রেলে
অবশেষে টোকেনের হাত ধরে স্বস্তি ফিরছে কলকাতা মেট্রো রেলে। হাঁফ ছাড়তে চলেছেন কলকাতা মেট্রোর আধিকারিক থেকে যাত্রীরা। এদিন থেকে ভিড় বাড়বে বলেই মদ মেট্রোর কারণ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে ফের ফিরছে টোকেন। আর টোকেন ফেরা মানেই মেট্রোয় যেমন যাত্রা আবারও সহজসাধ্য হয়ে ওঠা ঠিক তেমনি পাতালপথে রেলের আয়ের পরিমাণও বেড়ে যাওয়া।
সব কিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা মেট্রো রেলে টোকেন পরিষেবা আবার আগের মতোই চালু হয়ে যাচ্ছে। কোভিডের কারনে লকডাউনের পরে আনলক পর্বে কলকাতার পাতালপথে মেট্রো রেলের পরিষেবা চালু হলেও সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রাখা হচ্ছিল টোকেন। শুধুমাত্র ই-পাস ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমেই যাতায়াত চালু করা হয়েছিল।
তবে
গত
বছর
পুজোর
পর
থেকেই
ধাপে
ধাপে
ই-পাসের
ব্যবহার
কমিয়ে
দেওয়া
হচ্ছিল।
তখনই
শোনা
গিয়েছেল
২০২১শের
মার্চে
চালু
হয়ে
যেতে
পারে
টোকেন।
অবশেষে
আগামিকাল
থেকেই
মেট্রোর
যাত্রীরা
হাতে
পেতে
চলেছেন
সেই
টোকেন।
কলকাতা
মেট্রো
রেলে
নিত্যযাত্রীরা
প্রায়
সকলেই
স্মার্টকার্ড
ব্যবহার
করেন।
কিন্তু
যারা
নিত্যযাত্রীরা
নন
তাঁরা
টোকেন
কেটেই
যাতায়াত
করতেন
মেট্রো
রেলে।
আর
মেট্রো
রেলের
আয়
বলছে,
স্মার্ট
কার্ড
অপেক্ষা
টোকেন
থেকেই
ঘরে
আসে
বেশি
পয়সা।
সেই
টোকেন
চালু
না
হওয়ায়
আনলক
পর্বে
মেট্রো
চালু
হলেও
সেই
ভিড়
লক্ষ্য
করা
যাচ্ছিল
না।
মেট্রো
রেলের
ঘরে
সেই
তুলনায়
আয়ও
হচ্ছিল
না।
কিন্তু এবার সেই টোকেন ফিরে আসায় এক ধাক্কায় মেট্রো রেলে যাত্রীসংখ্যা ও আয় দুইই বাড়তে চলেছে। সেই ঘটনা যে হবে সেটা বুঝতে পেরে এবার পাতালপথে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
এবার থেকে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষ থেকে সকালে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে ৭টা ১০ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। ওই একই সময়ে দমদম থেকেও দক্ষিণেশ্বরগামী প্রথম ট্রেন মিলবে। রাতের দিকে শেষ ট্রেন ছাড়ার ক্ষেত্রে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দমদম থেকে কবি সুভাষগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে। কবি সুভাষ থেকেও ওই একই সময়ে দমদমমুখী শেষ ট্রেন ছাড়বে। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ২৮ মিনিটে। শনিবার দিনের প্রথম এবং অন্তিম মেট্রোর সময় একই থাকছে। তবে রবিবার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে সকাল ৯টায়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় অবশ্য এখনই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না।