তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে ভিড়লেন কর্মীরা, পঞ্চায়েত আগে শক্তিবৃদ্ধি বিরোধী শিবিরে
নেতৃস্থানীয় কাউকে ভাঙাতে যতই ব্যর্থ হন মুকুল রায়, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে কর্মী ভাঙিয়ে আনার ব্যাপারে সফল তিনি।
নেতৃস্থানীয় কাউকে ভাঙাতে যতই ব্যর্থ হন মুকুল রায়, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে কর্মী ভাঙিয়ে আনার ব্যাপারে সফল তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন কর্মীরা। বুধবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে এক ঝাঁক তৃণমূলকর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে। দিন চারেক আগে কলকাতার উপকণ্ঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলাতেও তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শতাধিক কর্মী।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, সভাস্থল নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘাত আইনের পথে]
এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কৌশল নিয়ে বিজেপি একটি বৈঠক ডেকেছিল মালবাজারে। সেই বৈঠকেই একদল তৃণমূল কর্মীকে উপস্থিত করানো হয়। সেখানেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। ভোটের আগে এই দলবদলে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা যায়।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলত্যাগীরা দাবি করেন, 'তৃণমূলে কোনও শৃঙ্খলা নেই। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ তৃণমূল। আমাদের বিশ্বাস বিজেপি ফের সুশৃঙ্খল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে রাজ্যের।' দলত্যাগীদের মুখে এই কথা শুনে উজ্জীবিত বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, 'আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করবেই।'
[আরও পড়ুন:৬৫০ কোটির বিনিয়োগে রাজ্যে এবার লজিস্টিক হাব, নয়া শিল্পে সরাসরি ৫০০০ কর্মসংস্থান ]
উল্লেখ্য, দিন চারেক আগে মহেশতলার আশুতি গ্রাম পঞ্চায়েতে শতাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি জেলা সভাপতি তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন। তৃণমূল ছেড়ে এক অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগ দেন পঞ্চায়েত সদস্য শম্ভু সর্দার ও অঞ্চল সভাপতি বিমল নস্কর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই এই দলবদল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন:ভোট দিন কংগ্রেসকে, নির্দেশ দিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! অন্য অঙ্ক কষা শুরু]