
মেঘালয়ে সরকার গড়বে তৃণমূলই, ত্রিপুরায় নেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা! দিলীপকে জবাব কুণালের
তৃণমূল কংগ্রেস এর আগে ত্রিপুরা, অসম এবং গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছে। কিন্তু কোনও সুবিধা করতে পারেনি। এবার মেঘালয়ে গিয়েছে। সেখানেও কোনও সুবিধা করতে পারবে না তারা। শুধুই নাটক হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তার পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, মেঘালয়ে সরকার গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ত্রিপুরার ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তৃণমূল। অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট করেই দিয়েছেন দুই রাজ্যে তৃণমূলের কী অবস্থান। এক রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য স্থির করেছে। আর অন্য রাজ্যে তৃণমূল কিং-মেকার হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এরপর বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, এর আগে আমরা ইস বার ২০০ পারের কথা শুনেছি। তারপর নাড্ডাজি এসেছেন, মোদী-শাহরা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। ঘোড়ার ডিম হয়েছে। বাংলা তার ঘরের মেয়েকেই বেছে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি একাই একশো।
কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলা উন্নয়নের মডেল। আর বিজেপি বলছে এই মডেল দেবো, সেই মডেল দেবো। তাহলে জেরক্স কপি কেন? তৃণমূলকে জেরক্স করে চালাচ্ছে বিজেপি। দিদির দল কাজ করছে। তাদের স্কিম নিয়ে জেরক্স করে বিজেপি চলছে। নিজেদের কোনও কিছু করার ক্ষমতা নেই। উন্নয়ন করতেই জানে না, শুধু কুৎসা করে।
এদিন দিদির দূতের প্রবেশ বিতর্কে কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারও মধ্যে কারও কোনও অভিযোগ থাকতেই পারে। তাই মানুষের ক্ষোভ শোনার জন্য আমাদের নেত্রী টিম পাঠাচ্ছেন। মানুষের কাছে যাচ্ছেন নেতারা, অনুপাতিক হারে ক্ষোভের সংখ্যা কম। ক্ষোভ শোনার জন্যই তো যাওয়া। তাহলে কেন এত কথা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যত অশুভ শক্তি এক জায়গায় হচ্ছে। আগে ছিল বাম-কংগ্রেস। এখন বিজেপি। যাদের নীতি নেই, আদর্শ নেই, তারা শুধু গোলমাল করছে। এরা শুধু মানুষকে বিপদে ফেলতেই পারে। এখন আবার গোলমাল করতে নেমেছে আইএসএফ। পুলিশ কি নীরব থাকত। এই বিরোধীরাই বলত পুলিশ নীরব। এই নিয়ে সস্তার রাজনীতি হচ্ছে।
কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা শ্রদ্ধা করি পিরজাদাদের। ফুরফুরা শ্রদ্ধেয়। ধর্মগুরুরা তাদের মতো থাকুন। তাঁরা যদি রাজনীতির ভাষায় কথা বলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁরা তাদের ধর্মের জায়গা সুরক্ষিত রাখুন। এটাই কাম্য। ধর্ম গুরুদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রদ্ধা আছে। পূর্ণ সম্মান আছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বা একটি অংশ যদি মনে করেন কংগ্রেস-সিপিএমকে সুযোগ দেবেন, বিজেপি সেটা কাজে লাগবে।
বিজেপিকে নিশানায় তিনি বলেন, ওরকম নাটক অনেক দেখেছি। ওরা মুসলমানদের বলেছে জেহাদি। নন্দীগ্রামকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ওদের মুখে ধর্ম নিরপেক্ষতা? বিজেপি উগ্রতার সঙ্গে ধর্মের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু ওরা বুঝেছে ধর্মের রাজনীতি চলছে না। ওরা হিন্দু ভোট পেতে নাটক করতেন। তার মধ্যেও রয়েছে বিষ।