মোদীর ‘দানবিক’ সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক পার্থর, কালাদিবসে আহ্বান গোটা বাংলাকে
শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন করবেন তৃণমূল কর্মীরা। কালো ব্যাজ পরে ‘দানবিক সরকার আর নেই দরকার’ স্লোগান তুলে এই কালা দিবস পালন করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
অসমের শিলচর বিমানবন্দরে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে কালা দিবসের ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, শনি ও রবিবার রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন করবেন তৃণমূল কর্মীরা। কালো ব্যাজ পরে 'দানবিক সরকার আর নেই দরকার' স্লোগান তুলে এই কালা দিবস পালন করার নির্দেশ দিলেন তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যস্তর থেকে শুরু করে ব্লক স্তরে এই কালাদিবস পালন করা হবে। অনৈতিকভাবে অসমের বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছিল তৃণমূলের আটজন জনপ্রতিনিধিকে। তাঁদেরকে হেনস্থা করা হয়েছে। কোনও জনপ্রতিনিধিকে এইভাবে আটকে রাখা যায় না। তবু কেন্দ্রীয় সরকার ও অসম সরকার পরিকল্পিতভাবে কণ্ঠরোধ করেছে জনপ্রতিনিধিদের।
পার্থবাবু বলেন, এই অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার জন্য তিনি সাধারণ মানুষকেও ডাক দিলেন। যোগ দিতে আহ্বান জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কালা দিবস পালন কর্মসূচিতে। বিজেপি সরকারের এই অমনাবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলের যোগদান জরুরি বলে বার্তা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, অসমের ৪০ লক্ষ মানুষকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি দেশবাসীর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় যেমন আছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা, রয়েছেন শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরাও। রয়েছেন প্রায় ১২ লক্ষ হিন্দু। কেন তাঁদের ভিটেমাটি এভাবে কেড়ে নেওয়া হল, তার ব্যাখ্যা নেই।
পার্থবাবুর কথায়, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পরই গর্জে উঠেছিলেন প্রতিবাদে। অসমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন দলের নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়কদের। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে অসম প্রশাসন যে নির্মম ব্যবহার করেছে তার প্রতিবাদে তিনি বাংলার মানুষকে গর্জে ওঠার আহ্বান জানান।
[আরও পড়ুন:চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল কেন্দ্রীয় সরকারের, সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেলেন তৃণমূল সাংসদ ]