মৃত শিশুপুত্রকে কোমরে বেঁধে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মা!
নিজের শিশুপুত্রকে কোমরে বেঁধে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা! সল্টলেকের অভিজাত আবাসনে মা ও শিশুর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি : নিজের শিশুপুত্রকে কোমরে বেঁধে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা! সল্টলেকের অভিজাত আবাসনে মা ও শিশুর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত গৃহবধূ পৌলমী রাউথ। পুলিশ তদন্তে নেমে পৌলমীর সউটওয়১আর ইঞ্জিনিয়ার স্বামী অনুপ রাউথকে গ্রেফতার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সল্টলেকের ইই ব্লকের আবাসনে স্বামী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পৌলমী। কিছুদিন আগে পৌলমীর শ্বশুর-শাশুড়িও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় পৌলমীর ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন একই ওড়নার দু'প্রান্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে মা ও শিশুর দেহ।
প্রথম এই দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে যায় পৌলমী-অনুপের আট বছরের ছেলে। জানলার ফাঁক দিয়ে সে-ই প্রথম মা ও ভাইকে ঝুলতে দেখে। তারপরই দরজা ভাঙা হয়। তখন সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মা ও শিশুর দেহই নিথর।
এই খবরে রীতমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আবাসন চত্বরে। বিধাননগর পূর্ব থানায় খবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পৌলমীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শিশুপুত্রকে খুন করে নিজের কোমরে বেঁধে আত্মঘাতী হয়েছেন পৌলমী।
পৌলমী কেন এই ঘটনা ঘটালেন, তা জানতে তদন্ত চলছে। তাঁর আট বছরের ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পৌলমীর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, তাদের মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচার চলত। তার জেরেই এই ঘটনা। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা।