ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে গলদ, মানল আবহাওয়া দফতর! যে ভাবে রক্ষা পেল কলকাতা
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে গলদ ছিল। এদিন সকালে সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে গলদ ছিল। এদিন সকালে সংবাদ মাধ্যমকে কার্যত এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই গলদের জেরেই এবারের মতো রক্ষা পেয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বলেছেন তিনি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, কলকাতায় ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি, কিন্তু আদতে তা ছিল ৫০ থেকে ৫৫ কিমি।
'ট্র্যাক সঠিক ছিল'
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর ট্র্যাক সঠিক ছিল। প্রথম থেকেই তাঁরা বলেছিলেন ঘূর্ণিঝড় পুরী হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে এবং খড়গপুর আরামবাগ হয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের পথে। যা মিলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
(ছবি সৌজন্য: এএনআই)
'ঝড়ের তীব্রতা নিয়ে পূর্বাভাস সঠিক ছিল না'
ঝড়ের তীব্রতা নিয়ে পূর্বাভাস সঠিক ছিল না। মেনে নিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা পূর্বাভাসে বলেছিলেন কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৬০ থেকে ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। কিন্তু আলিপুরে ধরা পড়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৫৫ কিমি। পরবর্তী সময়ে এসম্পর্কে আরও সঠিক তথ্য দিতে তাঁদের গবেষণা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যে কারণে রক্ষা পেল কলকাতা
ঘূর্ণিঝড় প্রবল শক্তি নিয়ে পুরী হয়ে ওড়িশায় প্রবেশ করে। কিন্তু তার পরে প্রায় ২৪ ঘন্টা ছিল স্থলভাগে। ফলে তার শক্তিক্ষয় হয়েছে। এছাড়াও গরম থাকায় জলীয় বাষ্প পায়নি এই ঘূর্ণিঝড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পরে তাতে বিশেষ কোনও শক্তি ছিল না। ফলে বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসী।
[আরও পড়ুন:৭ দিন ধরে চিন্তা ছিল! ফণী নিয়ে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
বাংলাদেশে গভীর নিম্নচাপ
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অতি গভীর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে প্রবেশের আগে শক্তি হারিয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশের পর তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।