জল ছড়ানোর গাড়ির ব্যবহারে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কলকাতার বায়ুদূষণ
জল ছড়ানোর গাড়ির ব্যবহারে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কলকাতার বায়ুদূষণ
গত কয়েকদিন ধরে ধুলোবালিময় রাস্তায় নিয়মিত ভাবে জল ছিটানোর ফলে বায়ু মান সূচকে উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি দেখা গেছে বলে দাবি করলো পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। হাওড়ার ঘুসূরী তে গত দুদিন আগেও বায়ু মান সূচক ৫০০ কাঁটা ছুঁলেও তা শনিবার নেমে দাঁড়িয়েছে ৩০০ তে।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, "বায়ুতে অতিরিক্ত ধূলিকণা ও দূষণ কমানোর জন্য আমরা হাওড়া পৌরসভা কে রাস্তায় নিয়মিত জল ছড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। পাশাপাশি জল ছড়ানোর জন্য ছয়টি গাড়ি রাখার কথাও বলেছিলাম। যার মধ্যে দুটি গাড়ি বর্তমানে ঘুসূরী, নবান্ন ও মন্দিরতলা এলাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যে আরও চারটি গাড়ি পদ্মপুকুর, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও ঘুসূরী এলাকায় মোতায়েন করা হবে।" বায়ুতে দূষণের মাত্রা আরও কমানোর জন্য আগামীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কলকাতা পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড যৌথ ভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার কলকাতার একাধিক ব্যস্ততম অঞ্চলের বায়ু মান সূচক বা একিউআই পর্যবেক্ষণ করেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্মীরা। যাদবপুর সংলগ্ন এলাকায় গড় একিউআই ছিল ১২৬। শনিবার ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্র ভারতী এবং ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় গড় একিউআই ছিল যথাক্রমে ১৮৫, ১৮৪ এবং ১২৩। দীপাবলির পর বায়ুদূষমের বাড়বাড়ন্তের পর তা শহরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তা ভেঙে খারাপ হয়ে যায়। ফলে যানবাহনের চাকার সাথে সেই ধূলিকণা বায়ুতে মিশে গিয়ে দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। জাতীয় পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্র 'নেরি'র প্ৰকাশিত এক প্রাথমিক রিপোর্টে কলকাতার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে রাস্তার ধূলিকনাকে দায়ী করেছে।
কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই জল ছিটানোর জন্য ১৫টি গাড়ির ব্যবহার করছে, এবং আরও ২০টি গাড়ির জন্য টেন্ডার ও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জলের ট্যাঙ্কার কেনার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কলকাতা পুরসভাকে ছয় কোটি টাকা অনুদান ও দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও দক্ষিণ দমদম পৌরসভা দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যশোর রোড, দমদম, বিমানবন্দর ও পাতিপুকুর এলাকায় দুটি ধূলিকণা দমনকারী গাড়িও সরবরাহ করেছে। বর্তমানে যা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিবেদিতা সেতু পর্যন্ত জল ছিটানোর জন্য মাঠে নেমেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
মমতার কৌশলে মাত, তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুকুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিজেপি নেতা