মেট্রো–বাসে যাত্রী সংখ্যা হ্রাস, স্তব্ধ জনজীবন কলকাতা শহরে
মেট্রো–বাসে যাত্রী সংখ্যা হ্রাস, স্তব্ধ জনজীবন কলকাতা শহরে
কোভিড–১৯ আতঙ্কে কলকাতা শহরের বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ঘরবন্দী করে রেখেছেন। যার জেরে যাত্রী সংখ্যাও এই কয়েকদিনে বেশ ভালো রকমের হ্রাস পেয়েছে। মঙ্গলবার মেট্রো রেলের মুখপাত্র জানিয়েছে এই কথা।
যাত্রী কমেছে মেট্রোয়
মুখপাত্র জানান, সোমবার মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা গড় ছিল ৫.৩২ লক্ষ, যা সাধারণত সপ্তাহের প্রথম দিনে থাকে ৬.২ থেকে ৬.৫ লক্ষ। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, সিনেমা হল ও পর্যটক জায়গাগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কলকাতার পরিবহনের প্রাণকেন্দ্র মেট্রোতেও যাত্রীসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। মেট্রোর মুখপাত্র ইন্দ্রানী ব্যানার্জি জানান, আগাম সতর্কতা হিসাবে মেট্রোর রেকগুলি পরিস্কার করা ও স্যানিটাইজার দিয়ে মোছা সবই হচ্ছ নিয়মিত। তিনি এও জানান, মেট্রো রেলের মেডিক্যাল অফিসাররাও এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করছেন সবাইকে।
অচল জনজীবন
ইন্দ্রানী ব্যানার্জি বলেন, ‘জ্বরের ক্লিনিক ও আলাগা ওয়ার্ডও তৈরি করা হয়েছে তন সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে, যাতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তকে সেখানে ভর্তি করা যায়।' রাজ্যের পরিবহন সচিব এনএস নিগম জানান, শেষ কয়েকটান দিনেও বাসে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন হল সোমবার, ওইদিন যাত্রীর ভিড় একটু বেশি থাকে, কিন্তু এবারে সেই যাত্রীদের ভিড় বাসে আর দেখা যায়নি।' ট্যাক্সি এবং ক্যাব সংগঠনদের পক্ষ থেকেও রিপোর্ট করা হয়েছে যে শহরে যাত্রীদের সংখ্যা একদমই কমে গিয়েছে। খুব কম সংখ্যক গাড়ি চলছে রাস্তায়, বেশিরভাগ জনই বাড়ি বসে কাজ করছেন।
মহিলা নাবিক সহ আরও পাঁচজন ভর্তি সরকারি হাসপাতালে
জাহাজের এক মহিলা নাবিক, যিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন এবং অন্য এক ব্যক্তি যিনি ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন সম্প্রতি তাঁদের দু'জনকেই সরকারি হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁদের শরীরে কোভিড-১৯-এর উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলা নাবিক জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের হাসপাতালে ভর্তি হন, সেখান থেকে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই একই হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে আরও পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন।