সন্তান কোলে মা ত্রাণের খোঁজ করছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ভাবনা কলকাতার এই পুজোর
সন্তান কোলে মা ত্রাণের খোঁজ করছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ভাবনা কলকাতার এই পুজোর
করোনা আবহের মধ্যেই পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে। শহর জুড়ে এখন শুধুই পুজো পুজো গন্ধ। এ বছরের পুজো অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। রয়েছে বহু বিধি–নিষেধ। তবে এই পুজোর মধ্যে আমাদের ভুললে চলবে না যে করোনা ভাইরাস মহামারি জনিত কারণে পরিযায়ী শ্রমিকরা বহু সমস্যার মধ্যে পড়েছে। কলকাতার প্রতিবেশী অঞ্চলের দুর্গা পুজো কমিটি এবার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেবী দুর্গার পাশাপাশি তারা মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান, যাঁরা এই মহামারির মধ্যেও নিজেদের লড়াই জারি রেখেছে।
বেহালার
বড়িশা
ক্লাব
দুর্গা
পুজো
কমিটি
এ
বছর
অন্যরকমভাবে
দেবী
মায়ের
বন্দনা
করতে
চায়।
উদ্যোক্তারা
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে
চিরাচরিত
দুর্গা
মায়ের
প্রতিমার
বদলে
তাঁরা
পরিযায়ী
মহিলা
শ্রমিকের
মূর্তির
পুজো
করবেন,
যাঁর
কোলে
সন্তান
রয়েছেন।
তিনিও
তো
মা
দুর্গার
প্রতীক।
তবে
শুধু
মা
দুর্গাই
নন,
তাঁর
সঙ্গে
থাকা
লক্ষ্মী,
গণেশ,
কার্তিক,
সরস্বতী,
প্রতিটি
মূর্তিই
একই
আদলে
গড়ে
তোলা
হচ্ছে৷
দশহাত বিশিষ্ট দুর্গার পরিবর্তে এক পরিযায়ী পরিবারের মা 'ত্রাণ’–এর খোঁজ করছেন। এমনকী এই ত্রাণ এ বছর বড়িশা ক্লাবের পুজোর প্রধান থিম। প্রসঙ্গত, কলকাতার থিম পুজোর তালিকায় বড়িশার পুজো বেশ জনপ্রিয় তাদের অভিনব থিম ভাবনার জন্য। শিল্পী রিন্টু দাস এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে বলেন, 'মণ্ডপে থাকা মা দুর্গার মূর্তি আসলে সেই মায়েরই রূপ যিনি সূর্যের তেজ, খিদে এবং যাবতীয় কষ্টকে জয় করেই একজন মা কীভাবে তাঁর সন্তানদের জন্য খাবার, পানীয় জল এবং ত্রাণ খোঁজার চেষ্টার করছেন ৷’
প্রসঙ্গত
সেপ্টেম্বরেই
কেন্দ্র
সরকার
ঘোষণা
করেছিলেন
যে
দেশের
৪
কোটি
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
মধ্যে
করোনা
ভাইরাস
মহামারি
ও
লকডাউনের
কারণে
২৫
শতাংশের
ওপর
বা
১.০৫
কোটি
শ্রমিক
নিজেদের
রাজ্যে
ফিরে
গিয়েছেন।
তালিকায়
শীর্ষে
রয়েছে
উত্তরপ্রদেশ,
এখানে
৩২.৫০
লক্ষ
পরিযায়ী
শ্রমিক
বাড়ি
ফিরে
এসেছেন,
এরপরই
রয়েছে
বিহার
১৫
লক্ষ।
লোকসভায়
এই
তথ্য
দিয়েছেন
শ্রমিক
ও
কর্মসংস্থান
কেন্দ্রীয়
প্রতিমন্ত্রী
সন্তোষ
কুমার
গাংওয়ার।
তবে
পুরুষদের
চেয়ে
মহিলা
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
চাপ
বেশি,
শুধু
তাঁদের
উপার্জন
হারিয়েছে
তাই
নয়,
এমনকী
তাঁদের
জোর
করে
বাড়ির
চার
দেওয়ালের
ভেতর
থাকতে
বাধ্য
করা
হচ্ছে।
লকডাউনের
সময়
অনেক
মহিলা
শ্রমিক
গার্হস্থ্য
হিংসা
ও
স্বামীর
থেকে
হেনস্থার
শিকার
হয়েছেন।
থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবসানের দাবিতে জোরালো প্রতিবাদ, জারি জরুরি অবস্থা