শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবার হুগলি নদীতে ই–ভেসেল ভাসবে
শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবার হুগলি নদীতে ই–ভেসেল ভাসবে
দূষণ
রোধ
করতে
এবার
পশ্চিমবঙ্গ
সরকার
হুগলি
নদীতে
বৈদ্যুতিন
জাহাজ
চালানোর
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
এছাড়াও
পুরনো
ও
ভেঙে
পড়া
ফেরিঘাটগুলিকে
সংস্কারও
করা
হবে।
এ
প্রসঙ্গে
রাজ্য
দূষণ
নিয়ন্ত্রণ
বোর্ড
জানিয়েছে
যে
পুরনো
জাহাজগুলির
জন্য
জল
ও
বাতাস
বিষাক্ত
হয়ে
গিয়েছে
এবং
শব্দ
দূষণেরও
সৃষ্টি
হয়েছে।
ই–ভেসেল পরিষেবা
কলকাতার ২৮টি ঘাটে প্রতিদিনই যাত্রীর চাপ বাড়ছে। তাই পরিবহন দপ্তরও তাদের পরিষেবা বাড়াতে চায়। এই বৈদ্যুতিন ভেসেল একই সঙ্গে নিরাপদও ও দূষণ নিয়ন্ত্রকও। তাছাড়া রাস্তার ওপর চাপ কমাতেও এই ই-ভেসেল সহায়তা করবে। পরিবহন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা অন্তত দু'টি বৈদ্যুতিন ভেসেলস নিয়ে আসব যাতে তা আমাদের ফেরি পদ্ধতির সঙ্গে কতটা খাপ খায় সেটা দেখার জন্য'। জানা গিয়েছে কমপক্ষে ২০টি আধুনিক ই-ভেসেল পরিষেবা শুরু করা হবে, যেখানে উন্নতমানের নির্গমন পদ্ধতি থাকবে।
দূষণ কমবে
দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ থেকে জানা গিয়েছে যে বর্তমানে যে জাহাজগুলি ব্যবহার করা হয় তার থেকে যে বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয় তা বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ থেকে বলা হয়, ‘ফেরি থেকে যে দূষণের সূচনা হয় তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ তা জলের মধ্যে মিশে যায়, এই দীর্ঘ-মেয়াদি ক্ষতি শহরের পরিবেশকে নষ্ট করে দেয়।' সুতরাং পরিস্কার ভেসেল ব্যবহার করার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড চাপ দিচ্ছে সরকারকে। তবে এই ২০টি নতুন ভেসেলে কোনও শব্দ নেই বলে জানা গিয়েছে।
প্রকল্পে সহায়তা করবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেরি পারাপারের জন্য কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মিলিয়ে মোট ২৪টি পুরোনো জেটি সংস্কারের কাজ দু'-এক মাসের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে। এর জন্য একলপ্তে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আউটট্রাম ঘাট, চাঁদপাল ঘাট, রতনবাবু ঘাট, আহিরীটোলা, ধোবিঘাট, শোভাবাজার ফেরি ঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাট, কোননগর, গৌরহাটি, মণিরামপুর ফেরি ঘাট, কাশীপুর ফেরিঘাট, নূরপুর, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, ফুলেশ্বর, পানিহাটি, রাসমণি ফেরি ঘাট, বরাহনগরের কুট্টি ঘাট, দেবীতলা ফেরি ঘাট, খড়দা জেটি ঘাট, বুরুল, হালিশহর ফেরি ঘাট এবং কেন্দামারি (নন্দীগ্রাম)। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারকে সহায়তা করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তাদের কাছ থেকে ১৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১,০২১ কোটি) সহায়তা পাবে সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের ৫,৩৬৯ কোটির গঙ্গা জল মার্গ প্রকল্প রয়েছে। যার লক্ষ্য হল জাতীয় নদীপথ-১, যেটি বারাণসী থেকে হলদিয়া পর্যন্ত জাহাজ চলাচল করবে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।