ই-সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিধিসম্মত নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে প্রস্তুতকারী সংস্থা
নিয়ম মেনে কোনও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লাগে লোকসভার উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ অনুমতি, কিন্তু ই-সিগারেটের ওপর নিষেধজ্ঞা বিধিসম্মতভাবে নিয়ম না মেনেই জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নিয়ম মেনে কোনও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লাগে লোকসভার উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ অনুমতি, কিন্তু ই-সিগারেটের ওপর নিষেধজ্ঞা বিধিসম্মতভাবে নিয়ম না মেনেই জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার ই-সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করল এক প্রস্তুতকারক সংস্থা।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বক্তব্য জানাবে আদালতে। এদিন বিচারপতি অরিন্দম সিনহার এজলাসে প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র দাবি করেন, ' ই-সিগারেটের থেকে তামাকজাত দ্রব্য (বিড়ি, সিগারেট, খৈনি) বেশি ক্ষতিকর। তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার চান্স অনেক বেশি। কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র ০.০৫ শতাংশ।
তা সত্বেও তামাকজাত দ্রব্য নিষেধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এক্ষেত্রে এত তৎপরতা কীসের? তিনি আরও দাবি করেন, 'যেখানে কোন আইন পাশের ক্ষেত্রে লোকসভার নিম্নকক্ষ উচ্চকক্ষ, দুই পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে দুই কক্ষের অনুমতি ছাড়াই সংসদকে উপেক্ষা করে আপৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। যা বিধিবহির্ভূত। তাই ই-সিগারেটের বন্ধের অর্ডিন্যান্সের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিক আদালত।'
বেশকিছু নথি আদালতে পেশ করে তাঁর আরও দাবি, 'প্রচলিত সিগারেটের ধোঁয়ায় আশেপাশের মানুষ যতটা ক্ষতির শিকার হয়, সে তুলনায় ই-সিগারেটের ক্ষতি তেমন একটা হিসাবের মধ্যে পড়ে না। তাই যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যে, ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে। আর এক্ষেত্রে তার উল্টোটা।