মমতার অভিযোগই বলবৎ তথাগতের টুইটে! বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমরা শরণার্থী নন
এবার এনআরসি বিতর্কে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা ত্রিপুরার বর্তমান রাজ্যপাল তথাগত রায়। ত্রিপুরার রাজ্যপালের কথায়, যে সমস্ত মুসলিমরা এদেশে এসেছেন, তারা রিফিউজি পা শরণার্থী নন।
এবার এনআরসি বিতর্কে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা ত্রিপুরার বর্তমান রাজ্যপাল তথাগত রায়। ত্রিপুরার রাজ্যপালের কথায়, যে সমস্ত মুসলিমরা এদেশে এসেছেন, তারা রিফিউজি পা শরণার্থী নন। রিফিউজি হলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিষ্টানরা। তাঁর ব্যাখ্যায়, বাংলাদেশের মুসলিমরা প্রাণভয়ে এ দেশে আসেননি।
সম্প্রতি অসমের এনআরসি নিয়ে মত দিতে গিয়ে একাধিক টুইট করেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি মানবাধিকার কমিশনের শরণার্থীর সংজ্ঞা তুলে ধরে ব্যাখ্যা করেন, কারা শরণার্থী, কারা নন। কেন বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা মুসলিমরা শরণার্থী নন, তা নিয়েও ব্যাখ্যা দেন রাজ্যপাল। তথাগতবাবুর দাবি অনুযায়ী, যারা ধর্মবিশ্বাস, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও অস্তিত্ব বাঁচাতে একদেশ থেকে অন্যদেশে যান তারাই শরণার্থী। যারা রোজগার বা সুযোগের আশায় দেশত্যাগ করেন, তারা শরণার্থী নয়।
If there is an inquiry for creating a National Register of Citizens,some people are bound to be excluded! But I feel that the UNHCR definition of the word ‘refugee’,rather than any religious distinction must be the basis of distinguishing between refugees and infiltrators
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 31, 2018
তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের শরণার্থীর সংজ্ঞা অনুযায়ী মুসলিমরা এদেশের শরণার্থী হতে পারে না। কেননা মুসলিমদের বাংলাদেশে কোনও প্রাণভয় ছিল না। তাঁরা রোজগারের আশায় এদেশে এসেছে, তাই মুসলিমরা শরণার্থী নন। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানরা প্রাণের ভয়ে এদেশে এসেছেন, তাই ওঁরা শরণার্থী।
বিরোধীরা চাঁছাছোলা ভাষায় ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথাগত রায়কে আক্রমণ করেছেন। বিরোধীদের কথায়, তথাগতর বক্তব্যেই স্পষ্ট বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে এনআরসি তৈরি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগই সত্য। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক পঞ্জির তালিকা তৈরি হয়েছে। এবং তা হয়েছে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতেই।