তৃণমূলে কি রাশ আলগা মমতার? নাকি গুপ্তচর চিনতে ব্যর্থ! শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতে জল্পনা তুঙ্গে
বিধানসভার অধ্যক্ষ কোন সিদ্ধান্ত নিজের নেন না। সবেতেই হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিরোধী দলনেতা-সহ সাত বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে অধ্যক্ষ (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্
বিধানসভার
অধ্যক্ষ
কোন
সিদ্ধান্ত
নিজের
নেন
না।
সবেতেই
হস্তক্ষেপ
করেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
(Mamata
Banerjee)।
বিরোধী
দলনেতা-সহ
সাত
বিধায়কের
সাসপেনশন
প্রত্যাহারের
দাবিতে
অধ্যক্ষ
(Speaker)
বিমান
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
(Biman
Banerjee)
কাছে
প্রস্তাব
জমা
দেয়
বিজেপি
পরিষদীয়
দল।
কিন্তু
পদ্ধতিগত
ভুল
দেখিয়ে
তা
বাতিল
করে
দেন
অধ্যক্ষ।
তবে
অধ্যক্ষ
যে
এই
সিদ্ধান্ত
এদিন
নেবেন,
তা
তিনি
আগেই
জেনে
গিয়েছিলেন
এবং
তা
দলবে
মুখ্যসচেতককেও
জানিয়েছিলেন।
তৃণমূলের
ভিতরে
থাকা
তাঁর
লোকেরাই
বিষয়টি
জানিয়েছিলেন,
দাবি
করেছেন
বিরোধী
দলনেতা
শুভেন্দু
অধিকারী
(Suvendu
Adhikari)।
অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছায় কাজ করেন না
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা-সহ সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছিলেন অধ্যক্ষ। এব্যাপারে আবেদন জানানো হলে, কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দুপক্ষকে আলোচনার সাপেক্ষে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলা হয়। সেই মতো বিজেপির তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ বলেন সঠিকভাবে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়নি। তাই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
তৃণমূল বিধায়কদের ৮০ ভাগ তাদের সঙ্গে
এদিন বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত অধ্যক্ষ নিজে নেননি। মুখ্যমন্ত্রীই তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছেন। তিনি নাকি বলেন, কোনওভাবেই যেন প্রস্তাব গৃহীত না হয়। সকালেই তিনি বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের অবস্থান জানতে পেরে যান। বিষয়টি সেই সময় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গাকে জানিয়েছিলেন তিনি। এই খবর তিনি তৃণমূলের থেকেই পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে তিনি আরও বলেন তৃণমূল শিবিরের ৮০ শতাংশই তাদের সঙ্গে রয়েছেন।এব্যাপারে প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ দেখে নিতে পারেন, বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করেন, সরকারের সব খবর তাঁর কাছে রয়েছে।
আগেও চর বিতর্ক
বিরোধী দলের ভিতরে গুপ্তচর থাকার কথা বলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। জগন্নাথ সরকার দাবি করেছিলেন তৃণমূলে তাদের চর রয়েছে। যদিও কুণাল ঘোষ সেইসব দাবি উড়িয়ে দেন। বিজেপি নেতা রাহুস সিনহা দাবি করেছিলেন, কুণাল ঘোষ তাদের চর। তার মাধ্যমেই খবর পায় বিজেপি।
বিজেপিই জমি হারাচ্ছে, পাল্টা দাবি তৃণমূলের
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী এদিন যা বলেছেন, তা সরকারের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ প্রকট করে তোলার জন্যই। বাম শাসনের শেষের দিকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ধরনের দাবি করতেন, একই দাবি করতেন মুকুল রায়ও। তবে এব্যাপারে তৃণমূল পরিষদীয় দল বিরোধী দলনেতার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলছে, বিরোধী দলনেতার অবান্তর কথা বলছেন। রাজ্যে বিজেপি জমি হারাচ্ছে, তাই ভেসে থাকতেই এই মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা।