রবীন্দ্র সরোবরের ছট পুজো নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
রবীন্দ্র সরোবরের ছট পুজো নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
অনিশ্চয়তার মুখে রবীন্দ্র সরোবরের ছট পুজো। ছট পুজো নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের জারি করা নির্দেশিকা ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে কলকাতার মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিএমডি)কে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে মামলায় পুজোর আবেদন চেয়ে এবং পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কলকাতার মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা সিএমডিএ।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা ট্রাইবুনালের নির্দেশ, রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এই বছর তো বটেই আগামী বছরগুলিতেও রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হওয়া বাস্তবে অনিশ্চিত হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর দিন ভিড় জমান অবাঙালি হিন্দিভাষী মানুষজন। কার্যত সেই ভিড় লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। সরোবরের জলে নেমে পুজো সম্পন্ন করা ছাড়াও চলে দেদার বাজিপটকা ফাটানোর কাজ। এছাড়া ময়লা ফেলাজনিত নোংরা তো থাকেই। সব মিলিয়ে গোটা রবীন্দ্র সরোবর এলাকা ছট পুজোর জেরে অন্তত ৪-৫ দিন চরম দূষণের কবলে পড়ে। তা নিয়েই রাজ্যের পরিবেশবিদরা মামলা ঠুকেছিলেন ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে। সেই মামলায় জাতীয় সরোবরের তকমাপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর কোনও অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেয় ট্রাইবুনাল। সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে সিএমডিএ। সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে ট্রাইবুনালের নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালিত হয়েছে কিনা তা রাজ্য সরকারকে পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে হবে। একই সঙ্গে পরিবেশবিদদেরও জানাতে হবে ট্রাইবুনালের নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে কি না।
গতবছর ২০১৯ সালে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপূজা যাতে না হয়, তার জন্য শহরের ১১ টি ঘাট প্রস্তুত করে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। তা সত্ত্বেও গেটের তালা ভেঙে ছটপুজোর জন্য ঢুকে পড়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু চলতি বছরে সমস্যা বাড়াতে না চেয়ে রবীন্দ্র সরোবরেই ছটপূজা করতে চেয়ে ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনালে আবেদন করে রাজ্য। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত।
'জয় শ্রীরাম' ও 'ভারত মাতা কি জয়' নিয়ে কাদের সমস্যা রয়েছে! বিহারে ভোট প্রচারে পারদ চড়ালেন মোদী