মোমিনপুরে লোডশেডিং কেন? জানতে চান শুভেন্দু! পথে নামলেন সজল-রুদ্রনীলরা
মোমিনপুরের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। রীতিমত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর চাপ বাড়াতে পথে বঙ্গ বিজেপি। আরএর মধ্যেই ঘটনাস্থলে যেতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এরপইরেই একেবারে পথে
মোমিনপুরের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। রীতিমত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর চাপ বাড়াতে পথে বঙ্গ বিজেপি। আরএর মধ্যেই ঘটনাস্থলে যেতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এরপইরেই একেবারে পথে নেমে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি।
বিভিন্ন জায়গাতে অবরোধ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। অন্যদিকে কেন ঘটনার সময়ে লোডশেডিং করা হল তা জানতে সিইএসসি অফিসে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।
দুই গোষ্ঠীর সংঘাতের ঘটনায় একেবারে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মোমিনপুর-একবালপুর। যদিও রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি একেবারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনার পরেই আজ সোমবার সকাল থেকে বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কিন্ত্য চিংড়িহাটা এলাকা থেকে আটক করা হয় তাঁকে। প্রথমে আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। আর এরপরেই আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আর তা নিয়ে একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যজুড়ে ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। জেলার সর্বত্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এমনকি কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ করা হয়। যার ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সেন্ট্রাল অ্যাভনিউতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সজল ঘোষ, রুদ্রনীল। রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, "পুলিশকে পঙ্গু করছে পুলিশমন্ত্রীই"। আর এই কারণেই এমন ঘটনা রাজ্যে রোজ বাড়ছে বলে দাবি অভিনেতার। অন্যদিকে সজল ঘোষ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারকে ছাড়া না হলে লালবাজার অভিযানের ডাক দেন বিজেপি নেতা।
অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারের পরেই বিধায়কদের নিয়ে লালবাজার পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। কেন আটক করা হল সুকান্তকে সেই বিষয়ে একদিকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে কেন তাঁরা মোমিনপুর যেতে পারবেন না সে বিষয়েও কথা হয়।
এরপর সেখান থেকে সোজা চলে যান সিইএসসি অফিসে। ঘটনার সময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেন আলো বন্ধ করে রাখা হয় সে বিষয়ে সিইএসএসির আধিকারিকদের কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। এমনকি কার নির্দেশে আলো বন্ধ করা হয় সে বিষয়েও তথ্য জানতে চান তিনি। আর তা নিয়েই একেবারে সরগরম রাজ্য-রাজনিতি।
অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্য যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। অশান্তিপূর্ণ জায়গাতে গিয়ে আরও অশান্তি বাড়ানোর কি দরকার? প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।