পড়াশোনা ছেড়ে বিকিনি ছবিতে মজে পড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হলেন সহকারি অধ্যাপিকা
ইনস্টাগ্রামে বিকিনি পরা ছবিতে মজে পড়ুয়া। যার জেরে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপিকাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। পড়ুয়ার অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সহকারি অধ্যাপিকা অভিযোগ করেন যে গত বছর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বাবা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে এবং তাদের দাবী সহকারী অধ্যাপিকা স্বেচ্ছায় কলেজ ছাড়েন। চিঠিতে ওই অভিভাবক লিখেছিলেন যে তিনি তাঁর ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপিকার আপত্তিকর ছবি দেখতে গিয়ে ধরে ফেলেন। যা আপত্তিকরের পাশাপাশি খুবই অশ্লীল ছিল। পড়ুয়ার বাবা বিকে মুখোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যে চিঠি লিখেছিলেন তা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে অধ্যাপিকার মতে কীভাবে ওই ছবি পড়ুয়ার কাছে এল তা তাঁরও অজানা।
পড়ুয়ার বাবা চিঠিতে লিখেছেন, 'সম্প্রতি আমার ছেলেকে প্রফেসরের কিছু খোলামেলা ছবি দেখতে দেখে আমি অবাক হয়েছি। শরীরে যৌন আবেদন রয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছন ওই প্রফেসর। অন্তর্বাস পরিহিত এক অধ্যাপিকার সেই ছবি দেখা অভিভাবক হিসেবে আমার জন্য লজ্জাজনক। এই ধরনের অশ্লীল ছবি দেখা থেকে ছেলেকে বিরত রাখতে আমি যেমন সচেষ্ট তেমন প্রফেসর হিসেবে এই কাজ করাটাও অনুচিত।' এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈঠকে ওই অধ্যাপিকাকে ডেকে পাঠানো হয়। অধ্যাপিকা অভিযোগ করেন যে ওই বৈঠকের সময় তাঁকে অভিভাবকের অভিযোগ পত্র দেখানো হয় এবং তাঁর ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের কিছু ছবি দেখানো হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ক্ষুন্ন করেছেন এই কারণ দেখিয়ে এরপর অধ্যাপিকাকে বিশ্ববিদ্যালয় ইস্তফা দিতে চাপ দেওয়া হয়।
অধ্যাপিকা দাবী করেছেন যে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর তাঁর ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হয়ত হ্যাক করে ছবি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এমনকী, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরিত্র হনন এবং হেনস্তার অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা।