বাংলায় ‘শিল্পতাড়ুয়া’ সরকার চলছে, মমতাকে ‘দফাদার মুখ্যমন্ত্রী’ কটাক্ষে বিঁধলেন সূর্যকান্ত
বাংলায় শিল্প চাই, কাজ চাই। কিন্তু রাজ্য থেকে শিল্প তাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে শিল্পতাড়ুয়া সরকার চলছে। তাই কোনও শিল্প আসবে না।
বাংলায় শিল্প চাই, কাজ চাই। কিন্তু রাজ্য থেকে শিল্প তাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে শিল্পতাড়ুয়া সরকার চলছে। তাই কোনও শিল্প আসবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন রাজ্যে শিল্প আসবে না, কোনও বিনিয়োগ আসবে না। দুহাতে কাজে চাই, পেটে ভাত চাই। আপনি থাকলে রাজ্যে এক পয়সাও বিনিয়োগ আসবে না। ভাতও জুটবে না।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সূর্যকান্ত বলেন, আপনি নিজের মাইনে ন-গুণ বাড়িয়েছেন। আমাদের আমলে গাড়ি চালকরাও মন্ত্রীর তুলনায় বেশি বেতন পেতেন। কেন্দ্রে চৌকিদারের সরকার চলছে। রাজ্যে চলচে দফাদারের সরকার। মোদীকে চৌকিদার কটাক্ষের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন নামকরণ করলেন সূর্যকান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দফাদার মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করলেন।
[আরও পড়ুন:চলছে ঢপ বাজি! ব্রিগেডের সমাবেশে বড় নেত্রীর ভূমিকায় দেবলীনা হেমব্রম ]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, চালুনি হতে চাইছিলেন মমতা। তাই ২৩ জনকে ভিনরাজ্য থেকে ডেকে এনে সমাবেশ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে ২৩ জন বক্তা থাকলেও শোনার লোক ছিল কম। আমাদের সভায় মাত্র ৯ জন বক্তা, কিন্তু শোনার লোক দ্বিগুণ।
[আরও পড়ুন:'পকেটমার' প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় দিন, ইয়েচুরি বার্তায় নেতা নয়, নীতিই বাঁচাবে দেশ]
তিনি বলেন, এই লাল পতাকা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ভয় পেয়েছে বিজেপি। যারা বলছিলেন, তৃণমূলকে হটাতে পারে বিজেপি, তারা এখন বুঝতে পেরেছেন বিজেপির সব ধাপ্পা। তৃণমূলকে হটাতে পারে বামেরাই। এদিন ব্রিগেড প্রমাণ করে দিয়েছে, নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গের আকাশে। লাল ঝড় আসছে। সেই ঝড়ে ফুৎকারে উড়ে যাবে বিজেপি-তৃণমূল। মানুষ ভুল করে মানুষই ইতিহাস গড়ে। রাজ্য থেকে তৃণমূল, দিল্লি থেকে বিজেপিকে হটিয়ে মানুষ লালা ঝান্ডা নিয়ে সেই ইতিহাস গড়বে।