এবার কি সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা! রাজ্যের কর্মী মহলে জল্পনা
হাইকোর্টের ডিএ নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। তাই ভবিষ্যত পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছে কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ।
হাইকোর্টের ডিএ নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাই ভবিষ্যত পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছে কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। সুপ্রিম কোর্টে গেলেও রাজ্য সরকার যাতে সুবিধা না পায়, তারজন্য ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে তারা। সোমবারই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রের মতোই রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ফলে এই মূহূর্তে রাজ্যের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা চাপার সম্ভাবনাও প্রায় নেই বললেই চলে।
ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হাইকোর্টের তরফে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালকে। একদিকে যেমন এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মীদের তরফে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে, ঠিক অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিয়ে তাদের বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২০১৯-এর জানুয়ারী থেকে ১৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্যের কর্মীরা। চলতি বছরের শুরুতে ১০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের কর্মীরা এখন ১০০ শতাংশ মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় কর্মীরা পাচ্ছেন ১৪৭ শতাংশ। তবে রাজ্যের কর্মীদের দাবি, বৈষম্য আরও অনেকটাই বেশি। রাজ্যের কর্মীরা ১০০ টাকা বেতন পেলে কেন্দ্রীয় কর্মীরা ২৫৭ টাকা বেতন পাচ্ছেন।
রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে সন্দিহান রাজ্যের কর্মী সংগঠনগুলি। ফলে কর্মী সংগঠন ও রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর স্যাট কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে তারা।