বিসর্জন-বিতর্কে রাজ্যের নয়া চাল, পুলিশি অনুমতি বাধ্যতামূলক জানাল নবান্ন
একাদশীতে বিসর্জনের জন্য লাগবে পুলিশের অনুমতি। শুক্রবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ জানান, 'একাদশীতে বিসর্জন করার আগে পুলিশের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে যথাযথ মনে হলে পুলিশ অনুমতি দেবে বিসর্জনের। নতুবা বিসর্জন করা যাবে না।'

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বিসর্জন ও মহরম একসঙ্গে করার জন্য এদিন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যে পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার মেয়র ও মেয়র পারিষদ প্রমুখ।
রাজ্য এর আগে দশমীর দিন সন্ধ্যা ছ-টার পর থেকে একাদশীর দিন পর্যন্ত দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারপর দশমীর দিন সময় বাড়িয়ে রাত দশটা পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এই মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রায় দেয়, একদশীর দিনও বিসর্জন করা যাবে। প্রথমে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হলেও পরে রাজ্য তা খতিয়ে দেখে সু্প্রিম কোর্টে আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
দুই ধর্মের দুই উৎসবকে একই সঙ্গে কীভাবে নির্বিঘ্নে পালন করা যায় তা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পরই স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ ও কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই ডিজি বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়েই বিসর্জন করা যাবে একাদশীতে।
তিনি এদিন সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে বলেন, দুর্গা-বিসর্জন শোভাযাত্রা ও মহরমের তাজিয়ার জন্য ভিন্ন রুট নিরুপণ করা হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত গাইড লাইন পাঠিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে। দুই উৎসবই একই সঙ্গে চালানোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে কোনও গুজব ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সমস্তরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চতুর্থী থেকেই রাজ্যজুড়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।