নবম-দশমে ভুয়ো নিয়োগের 'সংখ্যা' জানাল SSC! অযোগ্যদের ফের কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
নবম-দশমে ভুয়ো নিয়োগের 'সংখ্যা' জানাল SSC! অযোগ্যদের ফের কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
নবম-দশমে অন্তত ১৫০ জনের ভুয়ো নিয়োগের কথা স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এব্যাপারে সিবিআই-এর দেওয়া তথ্যের ওপরেই তদন্ত করেছে এসএসসি। অন্যদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি এদিন জানিয়েছেন, অযোগ্যদের পদত্যাগের জন্য সময় আর বাড়ানো হবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেআইনি নিয়োগ খুঁজতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই-এর পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনকেও নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেআইনি নিয়োগ খুঁজে বের করতে। তারপরে সিবিআই ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক বৈঠক হয়। সেই সময় সিবিআই-এর তরফে ১৫০ জনের ভুয়ো নিয়োগের ব্যাপারে কমিশনকে তথ্য দেওয়া হয়। কমিশন তারপর সেই তথ্য মিলিয়ে দেখে। এদিন কমিশনের তরফে সেই ১৫০ জনের ভুয়ো নিয়োগের কথা হাইকোর্টে জানানো হয়েছে।
অসফলদের ওএমআর সিট চেয়েছিলেন বিচারপতি
সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল সাদা খাতা জমা দেওয়ার কথা। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের ফাঁকা কিংবা ভুলে ভরা ওএমআর সিটের কথা উঠে এসেছিল। সেইরকম ওএমআর শিট সিবিআই আদালতে পেশ করতে পারবে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সিবিআই জানিয়েছিল, সার্ভার রুমের গার্ড ডিক্স থেকে তারা ওএমআর সিট পেয়েছে। সিবিআই জানিয়েছিল নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ ছাড়াও গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মিলিয়ে ৪০ টি করে ১৬০ টি ওএমআর সিট তাদের হাতে এসেছে। এব্যাপারে অবশ্য কমিশন জানিয়েছে সিবিআই যেসব ওএমআর শিটের কথা বলছে, তার মধ্যে ৮০ জনের নাম প্যানেলে ছিল।
কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি
বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেছিলেন, বেআইনিভাবে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা যেন ৭ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করেন। সেই সময়সীমা পেরিয়ে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পদত্যাগীদের সংখ্যাটা বলতে গেলে কিছুই নয়। ৩-৪ জন পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে পদত্যাগপত্রে একজন লিখেছেন, আদালতের নির্দেশে পদত্যাগ করলেন তিনি। এদিন বিচারপতি বেআইনি নিয়োগপত্র পাওয়াদের উদ্দেশে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আদালতের নজরে আসলেই এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
নিয়োগ মামলায় নতুন করে সিট গঠনের নির্দেশ
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে নতুন করে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ২ সদস্যকে সরিয়ে, সেখানে ৪ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি সিবিআই-এর ডিআইজি অখিলেশ সিংকে ফের এই মামলায় ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত চলাকালীন তাঁকে আর বদলি করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। প্রসঙ্গত গ্রুপ ডির নিয়োগ মামলায় ১৫ মে ৫৪২ জনকে যেখানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সেখানে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে সিবিআই-এর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
কৌশল বদলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে চাকরি প্রার্থীরা! ধরতে ছুটল পুলিশ