বছরভর রাজ্যবাসী কাছে অন্যতম খবর ছিল শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে, দেখুন টাইম লাইনে
বছরের শুরুতে বিষয়টি ছিল নারদ মামলায় ইডির সমন নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় কিংবা তাঁর স্ত্রী ইডির সামনে হাজিরার প্রসঙ্গ। বছরটা শেষ হয়েছে এই মামলায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডির সামনে হাজিরা দেওয়া নিয়ে।
বছরের শুরুতে বিষয়টি ছিল নারদ মামলায় ইডির সমন নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় কিংবা তাঁর স্ত্রী ইডির সামনে হাজিরার প্রসঙ্গ। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন গতবছরেই। কিন্তু এই বছরটা শেষ হয়েছে এই মামলায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডির সামনে হাজিরা দেওয়া নিয়ে। বছর ভর চলেছে তিন পরিবারে টানাপোড়েন। যদিও সমাজের একটি অংশ বলেন, মামলা থেকে রেহাই পেতে শোভন আর বৈশাখী সম্পর্কটাই সাজানো। যদিও এই মতবাদের সমর্থনের এখনও কোনও প্রমাণ সামনে আসেনি।
অসৎ উদ্দেশে বাড়িতে ঢোকার অভিযোগ শোভনের
ফেব্রুয়ারি পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রী রত্না ও ঝুমা সাহা নামে জনৈক মহিলা বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জোর করে বাড়িতে ঢোকার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি শেষে নিরাপত্তা কমে শোভনের
এছরের শেষের দিকে রাজ্য সরকারের তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা জেড প্লাস থেকে কমিয়ে জেড করে দেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তার মোড়ক সরিয়ে দিতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল গুঞ্জন।
মার্চেই মন্ত্রিত্ব ত্যাগের জল্পনা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের মনিটরিং কমিটিতে স্থান না পাওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। এবছরের মার্চে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতেও ছড়ায় জল্পনা। মেয়র এবং মন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন কি শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মেয়র পারিবারিক বন্ধু
ইতিমধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিল্লি আমিন কলেজের অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। মেয়র সম্পর্ক বৈশাখী জানান, মেয়র তাঁর পারিবারিক বন্ধু। একই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল মেয়রের পারিবারিক গণ্ডগোলে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।
শহরে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ শোভনের
মার্চে রবীন্দ্র সরোবর থানায় নিরাপত্তাহীনতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের কাছে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
'শুভ বুদ্ধির উদয় হোক'
স্বামী
শোভন
চট্টোাপাধ্যায়ের
ধারণা
অমূলক।
তাঁর
শুভবুদ্ধির
উদয়
হোক।
দুষ্কৃতী
নিয়ে
গোলপার্কের
ফ্ল্যাটে
হামলার
সম্ভাবনার
অভিযোগ
সম্পর্কে
এমনটাই
প্রতিক্রিয়া
দিয়েছিলেন
তৎকালীন
মেয়রপত্নী।
'বৈশাখীর পরিবার যা করেছে ভুলব না'
বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে চলার সময় বৈশাখী এবং তাঁর পরিবার তাঁর(শোভন) পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেটা পারিবারিক বন্ধু হিসেবেই করেছিলেন বৈশাখী। বৈশাখীর পরিবার যা করেছে, তা তিনি কোনও দিন ভুলবেন না বলে জানিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বৈশাখী পারিবারিক বন্ধু ছিলেন না: রত্না
২০১৬-র ডিসেম্বরে উদয় হয়েছিল বৈশাথী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি পারিবারিক বন্ধু ছিলেন না । মার্চে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীর সঙ্গে ভুল করছেন বলেও জানিয়েছিলেন রত্না।
শোভনদা অনেকটাই অসুস্থ: বৈশাখী
শোভনদা অনেকটাই অসুস্থ। হাইপ্রেসার এবং সুগার রয়েছে তাঁর। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানান বৈশাখী।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল প্রেম করছিস
মার্চেই বিধানসভা ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রবেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, শুধু প্রেম করছিস, নাকি কাজও করছিস। সেই সময় বেশ অস্বস্তিতে পড়লেও সেরকম কোনও উত্তর দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়।
দুলাল দাসের অভিযোগ
পরিবারের
তরফে
দুলাল
দাস
অভিযোগ
করেছিলেন,
অধ্যাপিকা
বৈশাখী
বন্দ্যোপাধ্যায়
রাত
তিনটের
সময়
শোভন
চট্টোপাধ্যায়ের
রবীন্দ্র
সরোবর
এলাকার
ফ্ল্যাট
থেকে
বেরোন।
সূত্রের
খবর,
বিষয়টি
নিয়ে
দাস
পরিবারের
তরফে
শোভন
চট্টোপাধ্যায়ের
বিরুদ্ধে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাছে
অভিযোগ
করা
হয়েছিল।
শোভনকে কাশ্মীর নিয়ে যেতে প্রস্তাব
ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে ফের একবার সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভনের সঙ্গে ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর আর্জি জানিয়ে আদালতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন রত্না। তিনি কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
এপ্রিলে ফের পুলিশের কাছে অভিযোগ শোভনের
পুলিশের কাছে করা অভিযোগে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন পর্ণশ্রীর বাড়িতে তাঁর ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নামে ভুয়ো জিএসটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পরে পুলিশ কমিশনারকেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আবাসনের সামনে ধর্না, গ্রেফতার রত্না
মেয়ের প্রতি শোভনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করে গোলপার্কে ধর্নায় বসেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। দাবি, মেয়ের ভিসার কাগজে সই। যদিও মেয়রের দাবি তিনি অসুস্থ। আর তাকে দিয়ে ভুয়ো কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাল্টা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। পরে গ্রেফতার করে সরানো হয় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।
মন্ত্রিত্ব বদলে 'ইস্তফা' বৈশাখীর
জুনে পরিবেশ দফতর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মমতার মন্ত্রিসভার এই রদবদলের পরই পরিবেশ দফতরের বিশেষ পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
বান্ধবীকে নিয়ে আদালতে হাজিরা
জুন মাস থেকেই বিবাহ বিচ্ছেদে খোরপোশ মামলায় আলিপুর আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাজির থাকতে শুরু করেন বৈশাখী।
শোভনকে 'তিরস্কার' মমতার
প্রেম করবি না, দল ও প্রশাসনিক কাজ সামলাবি? শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এমনটাই প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রশ্ন নিজের ঘরে নয়, অগাস্টে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রশ্ন তোলা হয় বলেই খবর। এই ভাষাতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী তিরস্কার করেন।
খোরপোশ মামলায় আলিপুর আদালতের রায়
সেপ্টেম্বরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের খোরপোশ মামলায় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে খোরপোষ বাবদ মাসে ৪০ হাজার টাকা এবং মেয়ের খরচ বাবদ ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। এছাড়াও মামলা লড়ার খরচ বাবদ এককালীন ৭০ হাজার টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানিয়েদেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
গণেশ পুজো নিয়েও থানায় অভিযোগ
সিদ্ধিদাতার পুজো নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে নথি নষ্টের অভিযোগ করেন তিনি।
মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা
নভেন্বরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার নবান্নে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেন। মুখ্যমন্ত্রী মেয়র পদ ছাড়ার নির্দেশ দেন। দুদিন পরে মেয়র পদে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।
রত্নার অভিযোগ
রত্না চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন এক মহিলার মোহেই অধঃপতনের পথে শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও পরামর্শ তিনি কানে তোলেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নারদ কাণ্ডে বৈশাখীকেও জিজ্ঞাসাবাদ
জিজ্ঞাসাবাদের সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর নাম করেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেই কারণে বৈশাখীকে তলব করে ইডি। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাজিরা দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।