৩৫ মিনিটের মিসিং লিঙ্কেই আটকে সনিকা মৃত্যু রহস্য, ২৫ জনের তালিকা তৈরি সিটের
গাড়িতে ৩৫ মিনিট কী করছিলেন বিক্রম ও সনিকা? ৩৫ মিনিটের মিসিং লিঙ্কেই আটকে সনিকা মৃত্যু রহস্য। সেই রহস্যভেদ করতে চাইছে পুলিশ।
গাড়িতে ৩৫ মিনিট কী করছিলেন বিক্রম ও সনিকা? ৩৫ মিনিটের মিসিং লিঙ্কেই আটকে সনিকা মৃত্যু রহস্য। সেই রহস্যভেদ করতে চাইছে পুলিশ। আর এইখানেই তদন্তকারী সিটের কাছে উঠে আসছে আরও একগুচ্ছ প্রশ্ন? আর তা জানতেই ২৫ জনের নামের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে সিট। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে, ওইদিন রাতে পার্টি থেকে বেরিয়ে সনিকাকে বাড়ি পৌঁছতে ওয়াটগঞ্জে না গিয়ে সম্পূর্ণ উল্টোদিকে নিজের ফ্ল্যাটে কেন গিয়েছিলেন বিক্রম? আবার নিজের ফ্ল্যাটের কাছে গিয়েও কেন ঢুকলেন না ভিতরে? কেনই বা তিনি প্রেমিকা সনিকাকে নিয়ে গাড়িতেই বসে রইলেন? তাহলে গাড়ির ভিতরে ওই দীর্ঘ সময় কী করছিলেন তাঁরা?
বিক্রম পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে বাদানুবাদ চলছিল। এমনকী হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। গাড়ির মধ্যেই মতানৈক্যের এই বহিঃপ্রকাশের জেরেই কি দুর্ঘটনা? নাকি আরও কিছু ঘটেছিল ওই রাতে? কেননা পুলিশ কিছুতেই মানতে পারছে না, শুধু গাড়ির চাকা স্কিড করে এই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। হয় গাড়ির গতি অনেক বেশি ছিল, নতুবা এমন কিছু ঘটেছিল, বিক্রম নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরেই মুহূর্তের অসতর্কতায় ঘটিয়ে ফেলেছে দুর্ঘটনা।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের আরও জিজ্ঞাস্য, যদি তীব্র বাদানুবাদই হবে তাঁদের মধ্যে, তবে কী নিয়ে সেই মতানৈক্য। বিক্রম দাবি করছে গত চারমাস ধরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সাহেবের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন সনিকা। তিনি নাকি মুম্বইয়ে সেটল হতে চাইছিলেন। তা নিয়েই বিবাদ?
বিক্রমের এই যুক্তি বা দাবি কতখানি সত্য, তা নিরূপণ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে ১৮ জনের বয়ান রেকর্ড হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বিক্রম-সনিকার তিন বান্ধবী ও চার বন্ধু। রয়েছেন যে ক্যাবে করে সনিকাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন বিক্রম তার চালক, দু-তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী, বারটেন্ডার। আরও সাতজনের বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ। প্রয়োজনে সাহেবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এদিকে বিক্রমের গাড়ি পুনরায় ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। কেন এয়ারব্যাগ খুলল না, সিট বেল্ট বাঁধা হয়েছিল কি না, গাড়ির গতি কত ছিল, চাকা স্কিড করেছিল বলে বিক্রমের দাবি, তা সঠিক কি না- সবকিছুই খতিয়ে দেখেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।