শরীরে নখের আঁচড়ই ধরিয়ে দিল সোনারপুরে মাধ্যমিকের ছাত্রী ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্তকে
সোনারপুরে মাধ্যমিকের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল অমিত রায় নামে এক যুবককে। কিশোরীর প্রতিবেশী ওই যুবকের শরীরে আঁচড়ের দাগ দেখেই সন্দেহ হয়।
কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি : সোনারপুরে মাধ্যমিকের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল অমিত রায় নামে এক যুবককে। কিশোরীর প্রতিবেশী ওই যুবকের শরীরে আঁচড়ের দাগ দেখেই সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। তারপরই পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে অস্বীকার করলও, পরে পুলিশের কাছে ওই যুবক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয় বলে দাবি। তারপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে।
এলাকায় মদ্যপ হিসেবে পরিচিত ছিল ওই যুবক। এর আগে একাধিক নারীঘটিত কারণে অমিত জড়িয়ে পড়েছিল। মেয়েদের উদ্দেশ্য করে টোন-টিটকিরি তো ছিলই, দিনভর মদ্যপ হয়ে মেয়েদের প্রতি অশালীন আচরণ করত সে। বিবাহিত হলেও স্ত্রী-র সঙ্গে বনিবনা ছিল না অমিতের। এই ঘটনায় অমিত ছাড়াও আরও ছ'জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার সোমবার সকালে গড়িয়ার লস্করপুরে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ। প্রীতি বসাক নামে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্ত পুলিশের ধারণা ছিল। ভারী বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। পাশের ঘরে থেকেও দিদিমা এই ঘটনার টেরও পাননি। মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় রাত জেগে পড়ে নাতনি। এদিনও রাতে নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল সে।
রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে কিশোরীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। ধর্ষণ করে তাঁকে ভারীয় বন্তু দিতে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। দরমার দোওয়াল ভেঙেই দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল কিশোরার ঘরে। কিশোরীর মানিব্যাগ থেকে এক যুবকের ছবি পাওয়া যায়। প্রথমে সেই যুবককে সন্দেহ করলেও, পরে অমিতের নাম উঠে আসে। তার শরীরে একাধিক নখের আঁচড়ই তাকে ধরিয়ে দিল।