'খোঁজ নিচ্ছে কেউ আমার', জিজ্ঞেস করলেও শশী-মালাকে এড়িয়েই গেলেন পার্থ
৭৫ তম স্বাধীনতা উদযাপনে ব্যস্ত গোটা দেশ। বাংলাতেও এর অন্যথা হয়নি। সকাল থেকেই ব্যস্ততা এবং সাজো সাজো রব। কিন্তু শত উৎসবের মধ্যেও নিজেকে আড়াল রাখলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতি মামলাতে ইতিমধ্যে তাঁকে
৭৫ তম স্বাধীনতা উদযাপনে ব্যস্ত গোটা দেশ। বাংলাতেও এর অন্যথা হয়নি। সকাল থেকেই ব্যস্ততা এবং সাজো সাজো রব। কিন্তু শত উৎসবের মধ্যেও নিজেকে আড়াল রাখলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতি মামলাতে ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এরপর থেকে জেলেই রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
তবে আজ সোমবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জেলে চান রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মালা রায়। যিনি কিনা কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ। সংশোধনাগারে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ঋষি অরবিন্দের সেল ঘুরে দেখেন।
এমনকি নেতাজি যে সেলে বন্দি ছিলেন সেই অঞ্চলও ঘুরে দেখেন তৃণমূলের বিধায়ক এবং সাংসদরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেলের বাইরেই আসেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি জেলের মধ্যে হওয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিতেও বাইরে আসেননি তিনি। তৃণমূলের নেত্রীদের সঙ্গেও দেখা হয়নি বলে জানা যায়। শশী পাঁজা কিংবা মালা রায় বেশ কিছুক্ষণ থেকেও ফিরে আসেন।
তবে সূত্রে খবর, জেলের মধ্যে ভেঙে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন জেল সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন তিনি। গত কয়েক বছরে স্বাধীনতা দিবসের দিনে কীভাবে ব্যস্ততায় কাটত সে গল্পই নাকি করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। কোথায় কোথায় পতাকা তুলতে যেতে হবে তা নিয়ে সকাল থেকেই নাকি থাকত ব্যস্ততা।
তবে এদিন তৃণমূলের সাংসদ কিংবা বিধায়কের সঙ্গে পার্থবাবুর দেখা না হলেও আইনজীবীর সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর জেলে যান। বেশ কিছুক্ষণ কথাও নাকি বলেন। তাঁর কাছে নাকি দলের অবস্থার কথা জানতে চেয়েছেন বলেই দাবি আইনজীবীর।
এমনকি তাঁর কেউ খোঁজ নিচ্ছে কিনা সে বিষয়েও তথ্য তাঁর কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানতে চেয়েছেন বলেই খবর। এমনকি তাঁর কেন্দ্র বেহালাতে তাঁকে নিয়ে কে কি বলছেন সে বিষয়েও জানতে চান বলে খবর। জেল সূত্রে খবর, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে। খুব একটা কারোর সঙ্গে কথা বলেন না তিনি।
জেল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন আগে কথামৃত চেয়েছিলেন। সেই মতো তাঁকে দেওয়া হয়। ফলে জেল বন্দি সময়ের বেশির ভাগ সময়টাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথামৃত পড়েই কাটছে বলে জেল সূত্রে খবর। তবে সকালের দিকে একটু আধটু হাঁটেন সেলের বাইরে।