যুদ্ধবিরতি মিছিল এপিডিআরের, আরএসএসের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে উত্তেজনা
এপিডিআরের মিছিলে অতর্কিতে হামলা চালাল একদল যুবক। যুদ্ধবিরতি ও সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে এই মিছিল সংঘটিত হয়েছিল।
এপিডিআরের মিছিলে অতর্কিতে হামলা চালাল একদল যুবক। যুদ্ধবিরতি ও সাম্প্রদায়িক উসকানির বিরুদ্ধে এই মিছিল সংঘটিত হয়েছিল। হঠাৎই জাতীয় পতাকা হাতে একদল যুবক এসে মিছিলে বাধা দেয়। অভিযোগ, বাধাদানকারীরা আরএসএসের সমর্থক। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে মিছিলে হামলা করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকাও নিয়ে প্রশ্ন তোলে এপিডিআর।
এপিডিআরের অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে এই হামলা করতে দিয়েছে। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ ছিল যখন মিছিল শুরু হল। কিন্তু হামলার আগে পুলিস সরে গেল। এপিডিআর কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করল। জানবাজারের সামনে ভারত মাতা স্লোগান দিয়ে তাঁরা এপিডিআর-কর্মীদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিল।
এপিডিআর-এর পক্ষে সুজাত ভদ্র-রঞ্জিত শুর বলেন, আমরা শান্তির পক্ষে মিছিল করছিলাম একেবারেই শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল। সেখানে কয়েরজন যুবক এসে মিছিলে বাধা দেয়। পুলিশকে বারবার ইনফর্ম করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পিছনে আরএসএস রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। আমরা অভিযোগ জানিয়েছি লালবাজারে। পুলিশের গাফলতির কথাও জানিয়েছি। পরে আমরা মিছিল শেষ করি।
এই মিছিলের সমালোচনা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন ওঁদের মনে হল মিছিলে বাধা দেওয়ার পিছনে আরএসএস রয়েছে? কেনই বা ওরা যুদ্ধবিরোধী মিছিলে সামিল হয়েছেন, এখনও কি যুদ্ধ বেধেছে। প্রকারান্তরে যুদ্ধের জিগির তোলা হচ্ছে কেন? তিনি এই ঘটনায় এপিডিআরকেই কাঠগড়ায় তোলেন।
এই পরিস্থিতিতে এপিডিআরের পক্ষে সুজাত ভদ্র জানান, প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর সেনাবাহিনীর উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে পাক প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধের জন্য তৈরি বলে বিবৃতি দিচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা শান্তির বার্তা দিচ্ছি। রাজনৈতিক পথে সমাধান চাইছি, কেন দিলীপবাবুরা এই সহজ সত্য় বুঝতে পারছেন না।