সহপাঠীর বিয়ের প্রস্তাব ফেরানোই কি কাল হল অন্তরার?
বেঙ্গালুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ই সন্তোষ কুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় অন্তরার। সন্তোষ অন্তরার সহপাঠী ছিল। প্রথম দেখাতেই সন্তোষের ভালো লেগে যায় অন্তরাকে। সেই সূত্রেই অন্তরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সন্তোষ।
কলকাতা ও পুনে, ২৫ ডিসেম্বর : সহপাঠীর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াই কি কাল হল অন্তরার? সেই আক্রোশেই নৃশংসভাবে খুন হতে হল পুনেতে কর্মরত এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা অন্তরা দাস খুনে নতুন মোড় এনে দিয়েছে।[পুণের রাস্তায় কুপিয়ে খুন করা হল বেহালার তরুণীকে]
তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেঙ্গালুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ই সন্তোষ কুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় অন্তরার। সন্তোষ অন্তরার সহপাঠী ছিল। প্রথম দেখাতেই সন্তোষের ভালো লেগে যায় অন্তরাকে। সেই সূত্রেই অন্তরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সন্তোষ। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না অন্তরা। অন্তরা সন্তোষের প্রেম ফিরিয়ে দেয়। এখন পুলিশের কাছে প্রশ্ন, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই
কি প্রতিশোধ নিতে এই খুন করা হয়েছে?
অন্তরাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তাতে প্রতিহিংসার তত্ত্বই জোরালো হয়েছে। কিন্তু সেই প্রতিহিংসা ঘটাল কে? তা-ই এখন লাখটাকার প্রশ্ন তদন্তকারীদের কাছে। পুলিশ এখন সন্তোষের খোঁজ চালাচ্ছে। সন্তোষের ঠিকানা জোগাড় হয়েছে অন্তরার যমজ বোন অঙ্কিতার কাছ থেকে। পুলিশ মনে করছে সন্তোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।
তবে পুলিশের কাছে উঠে এসেছে অন্য একটি তত্ত্বও। পুনেতে কর্মরত এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পেয়িং গেস্ট থাকতেন। সেখানে কয়েকজন যুবক তাঁকে উত্যক্ত করত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁকে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়। শুধু কটূক্তিই নয়, কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয় অন্তরাকে। এই সংক্রান্ত সমস্যার কথা তিনি জানিয়েছিলেন বাড়িতে। অন্তরা খুনের পিছনে এই প্রতিহিংসা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।