মেয়ের জন্য শোভনের আবাসনের সামনে ধর্না স্ত্রী রত্নার
গোলপার্কে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আবাসনের সামনে ধর্নায় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। রাত থেকে তিনি এই ধর্নায় বসেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে মেয়েকেও দেখা গিয়েছে।
গোলপার্কে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আবাসনের সামনে ধর্নায় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। রাত থেকে তিনি এই ধর্নায় বসেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে মেয়েকেও দেখা গিয়েছে। এ সম্পর্কে মেয়রের অভিযোগ অসত্য তথ্যে তাঁকে দিয়ে সই করানোর চেষ্টা হচ্ছে।
দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কের ফোর্ট লিজেন্ড। এখানকারই একটি ফ্ল্যাটে বর্তমান ঠিকানা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তারই সামনের রাস্তায় রাত থেকে ধর্নায় বসেছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মেয়ের বিদেশ যাত্রার জন্য ভিসার কাগজে বাবা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর জরুরি। কিন্তু সেই স্বাক্ষর নিয়ে টালবাহানা করছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। ভিসার কাগজে স্বাক্ষরের দাবিতেই অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্না চট্টোপাধ্যায় যেখানে অবস্থান করছেন, তার সামনেই পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মেয়রের অনুগামীরা। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মেয়রের নির্দেশেই এই বিক্ষোভ।
এর আগে একাধিক বার আদালতে গিয়েছেন মেয়র এবং মেয়রের স্ত্রী। স্ত্রী না চাইলেও মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ চান।
বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে মেয়র এখন স্ত্রীর সঙ্গে নিজের বাড়িতে থাকেন না। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে একই বাড়িতে না থাকলেও আলিপুর আদালতের নির্দেশ, অভিভাবক হিসেবে নথিতে সই করতে হবে মেয়রকেই। একান্তই যদি সেটা সম্ভব না-হয়, তা হলে রত্নাদেবীই সই করতে পারবেন। সেই সই আদায় করতেই এ দিন মেয়রের ফ্ল্যাটে যান রত্নাদেবী। কিন্তু মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় কিছুতেই সই করতে রাজি হননি। তারপরই মেয়রের ফ্ল্যাটের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি।
এসম্পর্কে মেয়র জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। তাঁকে দিয়ে অসত্য তথ্যে সই করানোর চেষ্টা হচ্ছে।