রানাঘাট সিস্টার ধর্ষণ কাণ্ড : বাংলাদেশ যেতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের
কলকাতা, ২৯ মার্চ : রানাঘাটের কনভেন্ট স্কুলের সিস্টার ধর্ষণ কাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশি যোগ। সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় মূল অপরাধীদের অনেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করছেন সিআইডি আধিকারিকরা। আর তাই এই তদন্তের স্বার্থে পদ্মাপারের দেশে যাওয়া অত্যন্ত আবশ্যক বলে মনে করে রাজ্য সরকারের তরফে অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একজন বাংলাদেশি সহ দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
সিআইডি সূত্রে দাবি, রানাঘাটের স্কুলে হামলা চালিয়েছিল বাংলাদেশের পেশাদার দুষ্কৃতীরা। ১৩ মার্চের ঘটনার পর ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা রানাঘাট থেকে পালায় বাংলাদেশে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে, আগেও সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে ঢুকে তিন-তিনটি অপারেশন চালিয়েছে বাংলাদেশের ওই দুষ্কৃতী দল।
গতকালই খাগড়াগড় তথা রানাঘাটের ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশের বিষয়টি উদ্বেগের। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। কেন্দ্র ও রাজ্যকে হাত মিলিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ তদন্তে এনআইএ-র একটি দল ঢাকায় যায়।
২০ মার্চ রাতে রানাঘাটের ওই কনভেন্ট স্কুলে পাঁচিল টপকে ঢুকে লুঠ চালানোর পাশাপাশি, স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব সিস্টারকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা।
সেদিনের ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা অধরা থাকায় ও সিআইডি তদন্তে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় চাপের মুখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য মমতার আর্জি খারিজ করে কেন্দ্র জানায়, রানাঘাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত সম্ভব নয়।