মমতার ডাকে নবান্নে রাজনাথ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের কী বার্তা মুখ্যমন্ত্রীকে
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনাথ সিংয়ের কলকাতায় আসা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়েই মূলত তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা।
রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে নবান্নে বৈঠক করতে পারেন তিনি। আগামী ৭ ডিসেম্বর তাঁর কলকাতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনাথ সিংয়ের কলকাতায় আসা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়েই মূলত তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা। তবে সেইসঙ্গে বৈঠকে উঠে আসতে পারে পাহাড় ও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গও।
বাংলা তথা ভারতের নিরাপত্তা বর্তমানে প্রশ্নের মুখে। কয়েকদিন আগেই কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জঙ্গিকে। তাদের আবার আল কায়েদা যোগ রয়েছে। মূলত বাংলাদেশের আনসারুল্লা গোষ্ঠীর এই জঙ্গিরা বাংলাকেই মুক্তাঞ্চল ভেবে ভারতে হামলার ছক কষছে। এসটিএফ সেই পরিকল্পনা বানচাল করলেও, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে এই প্রবণতা মারাত্মক হতে পারে ভবিষ্যতে। কেন্দ্র চাইছে তা সমূলে উরখাত করতে।
সেই কারণেই তড়িঘড়ি রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি নবান্নে বৈঠক করতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। নবান্নের এই বৈঠকে সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। পাঁচরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তা দেবেন দেশের সীমান্তবর্তী নিরাপত্তায়। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
[আরও পড়ুন :এবার গরিবদের ভাতা দেবে মমতার সরকার, মোদীকে 'টেক্কা' দিয়ে ঘোষণা]
কলকাতা থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পরই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র গভীর উদ্বেগে। তাই এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি কলকাতায় আসার পরিকল্পনা করেছেন। মমতার সঙ্গে মূলত তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকেই সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরও আসতে নির্দেশ পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজনাথ-মমতার এই বৈঠকে উঠতে পারে পাহাড় প্রসঙ্গও। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার থেকে বিমল গুরুংয়ের গতিবিধি নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশাবাদী এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক কিছু বেরিয়ে আসবে। যা থেকে পাহাড় সমস্যা বা সীমান্ত সমস্যা নিরসনে দৃঢ় পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
[আরও পড়ুন :এক কোটি বেকার যুবক-যুবতীর পাশে রাজ্য! পঞ্চায়েতের আগে কী প্রতিশ্রুতি মমতার]
মমতাও চাইছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ এসে যাওয়ায়, তা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর তিনি। কেন্দ্রও মনে করছে আলোচনা টেবিলে বসলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধানের রাস্তা বেরিয়ে আসা স্বাভাবিক। তেমন বলে রাজনাথ-মমতা পৃথক বৈঠকও করতে পারেন।